ঢাকা: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ বেড়েই চলেছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
চলতি মৌসুমের প্রায় প্রতিদিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। জেলাটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে মৃদ, মাঝারি ও তীব্র দাবদাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, টানা ১৯ দিন (০৬ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত) চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৯ ডিগ্রীর মধ্যে উঠা নামা করছিল। শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার পারদ রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ।
সবশেষ শনিবার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪২ শতাংশ। এর আগে এদিন সকাল ৯ টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৮ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ
তাপমাত্রার সাথে ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গত ৬ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ৩৪ ডিগ্রী থেকে ৪০ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছিল। সবশেষ আজ শনিবার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৪২ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, বাতাসে জলীয় বাষ্পর পরিমাণ বেশী থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্থি লাগছে।
এখানে দিন রাতের তাপমাত্রার পার্থক্যও থাকছে কম। দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরম নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। এর সাথে বিদ্যুতের লুকোচুরিতে (লোড শেডিং) চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্বস্তি।
চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে অধিকাংশ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। চলতি মৌসুমে গত ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধা ৬ টায় চুয়াডাঙ্গা ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আইএ