ঢাকা: শীতে চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। এর মাঝে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রি-গ্যাসিফিকেশনের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি চার দিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে গ্যাসের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সারা দেশে ২ হাজার ৭৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে এলএনজি টার্মিনাল থেকে এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করে ৮৩১ মিলিয়ন ঘনফুট এবং দেশীয় খনি থেকে ১ হাজার ৯৩৩ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ স্বাভাবিক চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সংকট রয়েছে ১৬৩৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
[240830]
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুটি টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করে সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। এর মধ্যে সামিটের সক্ষমতা ৫০০ এবং এক্সিলারেট এনার্জির সক্ষমতা ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে বর্তমানে প্রতিদিন দুটি টার্মিনাল থেকে সর্বোচ্চ ৮৫০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলা মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালটি মেরামত কাজের জন্য চার দিন বন্ধ থাকবে। এতে প্রতিদিন গ্যাসের সরবরাহ আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমতে পারে। অর্থাৎ অপর টার্মিনাল সামিট যদি সর্বোচ্চ পরিমাণ সরবরাহ করে তাতেও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।
এদিকে চলতি বছর শীতের শুরু থেকে সারা দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় দিনের বেলা চুলা জ্বলছে না। এর বাইরে শীত মৌসুমের কারণে গ্যাস সংকট থাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়েছে। যদিও শীতে গৃহস্থালির বিদ্যুৎ চাহিদা কম থাকায় এতে বড় কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
পেট্রোবাংলার তথ্য বলছে, গত বছর ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গড়ে প্রতিদিন গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের কাছাকাছি। সে তুলনায় এখন প্রতিদিন গড়ে ২৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম সরবরাহ করা হচ্ছে। অথচ, গত বছরের তুলনায় বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় কম গ্যাস সরবরাহ করায় বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘টার্মিনাল মেরামত করা একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। প্রতিবছর একবার করে এটার সংস্কার প্রয়োজন হয়। ৭২ ঘণ্টা মেরামত কাজ চলবে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ে টার্মিনাল থেকে এলএনজি পাওয়া যাবে।’
এম