জিপিএফ-এ মুনাফা

১ মাস পুরাতন বেসিকে ১১ মাস নতুন বেসিক কর্তন

  • সোনালীনিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২১, ১২:২৩ পিএম

ঢাকা: সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে ১৩% সুদ বা মুনাফা প্রদান করা হয়। গত ৫ বছরের জিপিএফ-এ মুনাফা দেওয়ার হার দেশের যে কোন স্থির বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণ তার মূল বেতনের সর্বোচ্চ পরিমাণ জিপিএফ জমা কর্তন করতে ইচ্ছুক।

একজন নিম্ন আয়ের কর্মচারীও অন্য কোন খাতে টাকা জমা রাখার চেয়ে জিপিএফ এ তার মুল বেতনের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২৫% কাটাতে ইচ্ছুক। প্রতি বছর জুন মাসের বেতন বিল হতে সাধারণত ভবিষ্যৎ নীতিমালা অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি বা কমানো সুযোগ রাখা হয়েছে।

কোন মাসের বেতন বিল হতে জিপিএফ এ জমা কর্তন হ্রাস বৃদ্ধি করা যায়?

সাধারণত জুন মাসের বেতন বিল হতে জিপিএফ জমা কর্তন হ্রাস বৃদ্ধি করা হত। প্রতি মাসের ১ জুলাই বেতন বৃদ্ধির তারিখ ফিক্সড হওয়ার কারণে প্রত্যের কর্মচারী জুলাই মাসের বেসিক অনুসারে জুন মাসের বেতন বিল হতে সর্বোচ্চ ২৫% কর্তন করতে আবেদন করে থাকেন। যাদের বেসিক একটু বেশি বা  আর্থিক ভাবে সামর্থবান তারা পারলে বেসিকের অর্ধেক বা পুরো বেসিক কাটাতে চান। সরকারি বিধান অনুসারে সর্বোচ্চ ২৫% অব বেসিক স্যালারী হওয়ার কারণে কোন ভাবে মূল বেতনের ২৫% এর অধিক কর্তন করতে পারছেন না।

আইবাস++ চালু হওয়ার কারণে কর্তনের ঘরে তার মূল বেতনের ২৫% এর অধিক গ্রহণ করছে না। তাই জুন মাসে নয় জুলাই মাসে পরিবর্তিত জিপিএফ কর্তন করা যাবে। হ্যাঁ ২৫% শর্তাংশের নিচে হ্রাস বা বৃদ্ধি ক্ষেত্রে জুন মাসের বেতন বিল হতেই পরিবর্তন বা হ্রাস বৃদ্ধি করা যাবে।

জুন মাসে কি তাহলে জুলাই মাসের আহরিতব্য মূল বেতন অনুসারে জিপিএফ কর্তন বাড়ানো যাবে না?

না যাবে না, যে বেসিক শুরুই হয়নি সে বেসিক অনুসারে আইবাস++ কোন ভাবে গ্রহণ করবে না। আইবাস++ মূল বেতনে ৫% এর নিচে যেমন গ্রহণ করবে না ঠিক ২৫% এর বেশিও গ্রহণ করবে না। তাই জুন মাসে জুলাই মাসের বেসিক অনুসারে জিপিএফ কর্তন বৃদ্ধি করা যাবে না। তবে হ্যাঁ কেউ যদি ২৫% এর মধ্যে বৃদ্ধি করতে চায় তবে তা করা যাবে। আবার কেউ যদি জিপিএফ হ্রাস করতে চায় তবে সেটিও জুন মাসের বেতন বিলহতেই পারা যাবে।

১ মাস পুরান বেসিক ১১ মাস নতুন বেসিকে জিপিএফ কর্তন?

জি এক মাসের মূল বেতন পূর্বেরটা অর্থাৎ জুন মাসের তাই সেটি আগের মাস গুলোর মতই কর্তন হবে অবশিষ্ট এগার মাস জুলাই মাসের বেসিক অনুসারে কর্তন করা যাবে এ সংক্রান্ত একটি আদেশও জারি হয়েছে। তার মানে জুন টু মে হিসাব হলেও ১২ মাসের ১ মাস পুরান বেসিক এবং ১১ মাস নতুন বেসিকে কর্তন দেখাবে। অতীতে ম্যানুয়াল হিসাব হলেও বর্তমান অটোমেটিক ক্যালকুলেশন হওয়ার কারণে হিসাবে কোন সমস্যা হবে না। যেহেতু অটোমেটিক অনলাইন ক্যালকুলেশন তাই কর্তন কম বেশি হলেও কোন হিসাব জটিলতায় পড়তে হবে না। তাছাড়া প্রতি মাসের কর্তন এবং বছর শেষে সুদ ও জমার হিসাব এখন আপনি চাইলেই অনলাইনেই জিপিএফ হিসাব দেখে নিতে পারেন যে কোন সময় চেক করতে পারবেন জিপিএফ জমার পরিমাণ।

একেক মাসে একেক কর্তন তাতে হিসাবে সমস্যা হবে না?

না, সফটওয়্যারে হিসাব করার কারণে কর্তনের ভিন্নতার জন্য হিসাবে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। তাছাড়া প্রারম্ভিক জের এন্ট্রি করা থাকলে আপনি সহজেই আপনার জিপিএফ একাউন্ট দেখে নিতে পারবেন। তাই নিশ্চিন্ত থাকুন কর্তনের ভিন্নতার জন্য হিসাবের জটিলতায় পড়বেন না।

সোনালীনিউজ/এইচএন