সবুজ পাতা ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল

  • ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪, ১২:৪৯ পিএম

ঈশ্বরগঞ্জ : কাঁচামাটিয়া নদীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় গাছে গাছে সবুজ পাতা ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। প্রকৃতিতে এখন শীতের আমেজ। শীত যেতে না যেতেই আমের মুকুল জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। সারি সারি আম গাছে এখন সবুজ পাতা ভেদ করে বেরিয়ে আসছে আম চাষিদের সোনালী স্বপ্ন। আম চাষিরাও মুকুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার আমের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরগঞ্জেও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশে আমের যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি বেড়েই চলেছে এর উৎপাদন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঘের শুরুতেই গাছে গাছে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল।

চাষিরা বলছেন, আরও ১০-২৫ দিন গেলে হয়তো সব গাছেই মুকুল আসতে শুরু করবে। তখন আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুরভিত হয়ে উঠবে প্রকৃতি। এ সময়টাতে মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভালো ফলন সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আশায় বুক বেঁধে শুরু হয়েছে পরিচর্যা। মুকুলে যাতে পোকার আক্রমণ না হয় এবং ঝরে না পড়ে সেদিকেই নজর রাখছেন আম চাষিরা। তবে পরিচর্যা খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেকে।

[216687]

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার মোহররম আলী বনরাজ হর্টিকালচারসহ উপজেলার কয়েকটি আম বাগানে এবার গাছে গাছে উঁকি দিতে শুরু করেছে আমের মুকুল। বনরাজ হর্টিকালচারের মালিক মোহররম আলী বলেন, ‘আমার ১২০ শতাংশ   জমির উপর একটা আম বাগান করেছি। বাগানে  বারি-৮,বাড়ি-৪, থ্রি টেস্ট, বারি-১১, কিউজাই, চিয়াংমাই ও দেশীয় বিভিন্ন জাতের আমের গাছ আছে। বাগানের বয়স ৫ বছর। প্রতিটি গাছ কলম করা, তাই ছোট থেকে গাছে আম ধরেছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এবারও আমের ভাল ফলন পাবো।’

এছাড়াও কিছু কিছু বাসা বাড়ির গাছেও দেখা গেছে আমের মুকুল। আম আমাদের দেশে মৌসুমি অর্থকরী ফল হিসেবে গুরুত্ব পেলেও বর্তমানে এটি শিল্পজাত পণ্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। প্রাকৃতিক ও ভৌগলিক অবস্থান এবং আম চাষের উপযোগী আবহাওয়ার কারণে দেশে বেড়েছে আম উৎপাদন।  

উপজেলার আরেক আম চাষি বাবুল মিয়া বলেন, ‘আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পুরোদমে মুকুল আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই এসময় গাছের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে করা হচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান বলেন, ‘ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পুষ্প মুঞ্জটিতে পাউডারি মিলডিউ অ্যানত্রাকনোজ রোগের আক্রমণ হতে পারে। এতে গাছের পাতা মুকুল ও কচি আমে কাল দাগ পড়ে। প্রাকৃতিক পরাগায়নের জন্য আম বাগানে মৌমাছি পালন এবং বাগানের চারদিকে ফলের গাছ রোপণ করলে ভালো হয়।’

এমটিআই