ঢাকা: কিম্ভূত কিমাকার সাজ-পোশাক পরে, মুখে রং মেখে কার্যত ভূত, পেত্নি, ড্রাকুলা সেজে হ্যালোইন উদযাপন করার দিন আজকে। শুধু তাই নয়, হ্যালোইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় জমকালো পার্টিরও। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বর্তমানে পালিত হয় দিবসটি। হ্যালোইন পার্টিতে থাকে নির্দিষ্ট ড্রেস কোড। সাধারণ ভদ্র-সভ্যভাবে পার্টিতে প্রবেশ করা যায় না। ঢুকতে হবে ভূত-পেত্নি সেজে। পার্টির খাবার এবং সাজসজ্জাতেও ভৌতিক প্রভাব স্পষ্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের কোন জায়গাগুলোতে হাড় হিম করা আসল হ্যালোইন পার্টি হয় উদযাপন করা হয়।
দেখে নেওয়া যাক কারা কীভাবে পালন করে এই দিন—
মেক্সিকো ও স্পেন: এই দিনের নাম দিয়া দে লোস মুয়েরতোস অর্থাত্ ডে অফ দ্য ডেড। নভেম্বর মাসের ১ ও ২ তারিখে পালিত হয় মৃতদের দিন। প্রতি পরিবার প্রিয়জনদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানানোর পর মেতে ওঠে উত্সবে। ম্যাকাব্রেলি প্যারেড, কঙ্কালের সাজে উত্সব পালন করে লাতিন বিশ্ব। প্রায় হাজার বছরের পুরনো এই রেওয়াজ।
তেঙ্গ চেইহ: চিনে এই উত্সবের নাম তেঙ্গ চেইহ। তবে অক্টোবর/নভেম্বর মাসে নয়। চাইনিজ বছরের শেষে পালিত হয় তেঙ্গ চেইহ। এই উত্সবকে লন্ঠন উত্সবও বলা হয়। বিভিন্ন পশুপাখির আকারে তৈরি করা হয় লন্ঠন। সেই লন্ঠন জালিয়েই দূর করা হয় অশুভ শক্তি।
জাপান: জাপানে এই উত্সবকে বলা হয় ফেস্টিভ্যাল অফ হাঙ্গরি গোস্টস। সারা গরমকাল জুরে জাপানে পালিত হয় ওবোন ফেস্টিভ্যাল। সারারাত ধরে আগুন জালিয়ে রাখেন জাপানিরা। রাস্তায় যেখানে সেখানে লাল লন্ঠন সত্যিই দেখার মতো দৃশ্য তৈরি করে।
অস্ট্রিয়া: ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে পালিত হয় অল সোলস উইক। অস্ট্রিয়ানরা একে বলে সেলিনোচে। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে টেবিলের ওপর রুটি, পানি ও ল্যাম্প রেখে ঘুমোতে যান অস্ট্রিয়াবাসী। ১ নভেম্বরের সন্ধেবেলা পালন করা হয় অল সেন্টস ডে। এই দিন পুরো পরিবার একসঙ্গে সমাধিক্ষেত্রে প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা করেন।
জার্মানি: হ্যালোউইনের রাতে ছুরি, কাঁচি সব লুকিয়ে রাখেন জার্মানরা। বার্লিনের হ্যালোউইন কস্টিউম পার্টি খুবই জনপ্রিয়।
চেক রিপাবলিক: একটু অন্যভাবে হ্যালোউইনের রাতে ফায়ারপ্লেসের পাশে পরিবারের প্রতি মৃত সদস্যের জন্য চেয়ার সাজিয়ে রাখেন চেকরা।
ভারত: ভারতে কালীপূজা, অর্থাত্ দীপান্বিতা অমাবস্যার আগের রাতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। চোদ্দ পুরুষের উদ্দেশে এ দিন সারারাত জ্বালানো হয় ১৪টি প্রদীপ। খাওয়া হয় ১৪ শাকও।
ইউআর