ঢাকা: ‘জাতীয় বেতন স্কেলে সূক্ষ্মভাবে বৈষম্যের অদৃশ্য দেয়াল তৈরি করা হয়েছে’ এমন অভিযোগ বেশিরভাগ কর্মচারীর। তাদের মতে, আর্থিক সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কর্মচারীদের ব্যবধান অবশ্যই থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধানটা স্বাভাবিক পর্যায়ে নেই। অনেক বেশি।
সরকারি চাকরিতে বর্তমানে বেতনের ২০টি গ্রেড রয়েছে। এ গ্রেড কমিয়ে ১০টি গ্রেড করার দাবি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সোচ্চার কর্মচারীরা। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় দেশে ১০টি গ্রেড ছিল। কর্মচারীরা সেই গ্রেডেই ফিরে যেতে চায়।
এবিষয়ে ফাহিম তুর্জ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন-
কিভাবে বৈষম্য দূর করবেন বলেন ?
যারা ১ থেকে ১০ গ্রেডে আছেন তারা নিজেকে কখনোই কর্মচারী ও কামলা হিসাবে প্রকাশ করতে পারে না । কতিপয় অফিসের প্রধান গুলো নিজেকে কর্মচারী এবং সরকারের কামলা হিসেবে আখ্যায়িত করেন, আমি মনে করি যারা নিজেকে সত্তিকারের দেশপ্রেমিক , রাষ্ট্রের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, মানুষের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে তারাই একমাত্র নিজেকে কর্মচারী এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন এবং তা অফিস অর্ডার কিংবা যেকোন কাজে কর্মচারী হিসেবে প্রকাশ করেন । এরাই মূলত খাঁটি দেশ প্রেমিক, এরাই স্যার হওয়ার যোগ্য সম্মান পাওয়ার যোগ্য ।
২০১৫ সালের গেজেটে আছে সকলে গ্রেড ভিত্তিক সরকারের কর্মচারী অথচ তাঁরা কখনো নিজেকে কর্মচারী হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন না এদের জন্য আজ এই বৈষম্য।
যারা নিজেকে কামলা হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারেন না , তারা সাধারণ মানুষের এবং রাষ্ট্রের প্রতি দয়া ও থাকে না এটাই তাদের প্রমাণ।
এরা স্যার হওয়ার এবং সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না ।
এদের কারণে আজ বাংলাদেশের সকল অফিসে হাহাকার, ও অশান্তিতে ভরে আছে পুরো বাংলাদেশ।
হে জননেত্রী মানবতার মা আমাদের ১০ টি গ্রেড ফিরিয়ে দিন প্লিজ যা আপনার পিতা দিয়েছিলেন।
সোনালীনিউজ/আইএ