ঢাকা: জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে বের করে যখন এ আলোচিত নায়িকাকে গাড়িতে তোলা হয়েছে, তখন হাত নেড়ে ও সেলফি তুলে উল্লাস করেন। ভক্তরাও তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করে কারা ফটকের সামনে।
কারাফটকে পরীমণির মুক্তির উল্লাসের আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এ নিয়ে বিশিষ্ট ইসলামী বক্তা গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুর রহীম আল-মাদানীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলের এক স্ট্যাটাসে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মাওলানা আব্দুর রহীম আল-মাদানীর স্ট্যাটাসে লিখেছেন-‘অসংখ্য অপকর্মের হোতা, মাদক মামলার ঘৃণিত আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসা। এটা নির্লজ্জতার কত নম্বর স্তর???’
তার এ স্ট্যাটাসে জনৈক জিলানী সোহান মন্তব্য করেন, ‘একটা জিনিস বুঝলাম না, বাংলাদেশের জেলখানায় কি মেহেদি দেয়ার সু-ব্যবস্থা আছে নাকি, পরীমনি কি জেলখানা থেকে বের হইছে, নাকি অলিম্পিক থেকে স্বর্ণ পদক নিয়ে বাংলাদেশে আসছে।’
আবুল মনসুর ইমন মন্তব্য করেন, ‘মানুষের চরিত্র ধ্বংসের কারিগর মুক্তি পায়। আর মানুষের চরিত্র গঠনের কারিগর বন্দী থেকে যায়।’
মো: জাকারিয়া বিন তাহের মন্তব্য করেন, ‘জেলের মধ্যে আবার মেহেদী লাগাইয়া দিলো কে? আলেমরা জেল থেকে বাইরে আসলে পঙ্গু হয়ে আসে, আর পরি তো হাসতে হাসতে হাতে মেহদী লাগিয়ে রঙ্গ তামশা করে আসছে , আসলে আইন কার?’
যদিও কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, কারা ক্যান্টিনে খাবারের পাশাপাশি নারীদের সাজসজ্জার বিভিন্ন ধরনের উপকরণ বিক্রি হয়। শুরু পরীমণিই নয়, অনেক নারী বন্দি ক্যান্টিন থেকেই মেহেদি কিনে হাতে পরতে পারেন। ক্যান্টিন থেকেই পরীমণি মেহেদি কিনে হাতে পরেছেন।
সোনালীনিউজ/আইএ