ঢাকা: বেতন-ভাতা, বৈষম্য আর পদ-পদবী নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই সরকারি কর্মচারীদের। দীর্ঘদিন ধরে আপেক্ষ নিরসনে দেন-দরবারের পাশাপাশি আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তারা। তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মিলছে শুধু আশ্বাস।
দাবি আদায়ে ইতোমধ্যে কর্মবিরতির মতো কঠোর পদক্ষেপেও গেছেন সরকারি কর্মচারীরা।সামনে ১ এপ্রিল থেকে আসছে বিভাগীয় সমাবেশ। এতেও কাজ না হলেও ঢাকায় মহাসামাবেশেরও ঘোষণা রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত সরকারি কর্মচারীদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের নির্দেশ
যদিও শোনা যাচ্ছে আগামী নির্বাচনের আগে আসতে পারে নতুন পে স্কেল। তবে এই খবরে কর্মচারীদের হতাশা খুব একটা কাটছে না। প্রজাতন্ত্রের নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের প্রত্যাশা নতুন অর্থ বছরের মধ্যে বৈষম্যহীন একটি পে স্কেল ঘোষণা।
এদিকে বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় নিন্ম গ্রেডের কর্মচারীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের নিদারুণ কষ্টের কথা অকপটে প্রকাশ করছেন সামাজিক মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশ স্থগিত, কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন ও নিয়োগবিধি প্রণয়নে সভা আহ্বান
একজন লিখেছেন- আমরা মুজিব বর্ষ দেখলাম, স্বাধীনতা দিবস দেখলাম, দেখলাম বিজয় দিবস, সেই সাথে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছর।। শুধু দেখা হলো না ১১-২০ গ্রেডে কর্মরত কর্মচারিদের বেতন বৈষম্য দাবী বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহনের দিকনির্দেশনা।
তাহলে কি ? আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার৷ সাধারন ভাবে বেচে থাকার মত অধিকার বাস্তবায়নের জন্য ৯ ম পে- স্কেল চাই, বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই। আামাদের অপেক্ষার সময় শেষ, আর কারোর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবো না।আমরা আমাদের ন্যায্য বেতন বৈষম্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে নেমে আমাদের দাবী আদায় করবো। সেই লক্ষ্যে, সব পেশাজীবি সংগঠন কে নিয়ে মহাজোট গঠন করে কঠিন থেকে কঠোর ও মহাসমাবেশ এর মত কর্মসুচি দেয়ার অনুরোধ রইল। আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসুন, বেতন বৈষম্য দাবী আদায়ের স্বার্থে সব কর্মসুচি সফল করুন।।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে অসহায় কর্মচারীদের আকুতি
আরেকজন লিখেছেন-সময় এখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার।
সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন বৈষম্য নিপাত যাক।
সম ব্যবধানের বেতন গ্রেডের নবম পে স্কেল মুক্তি পাক।
দ্রুত নির্দিষ্ট পরিমানের মহার্ঘভাতা ঘোষনা করা হোক, যা কর্মকর্তা ও কর্মচারীর একই হবে,কারন কর্মকর্তা কর্মচারী একই বাজারে বাজার করে,তাইলে ভাতায় ব্যবধান কেন হবে?
আরও পড়ুন: রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট
অন্যএকজন লিখেছে-আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আর কত বৈষম্যের সৃষ্টি হবে? আর বুক ভরা ব্যথা নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরবে নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীগণ…
আরেকজনের দাবি-ঈদের আগেই মহার্ঘ ভাতা চাই। আর আসছে নতুন অর্থ বছর থেকে ৯ম পে- স্কেল দেয়া সময়ের দাবি।
‘সুখী দেশের তালিকায় নাকি বাংলাদেশ ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। অথচ আমরা জানি সুখ লুকিয়ে আছে ১-১০ গ্রেডে এবং সচিবালয়ে।’
টিকে থাকতে না পেরে টিসিবির কার্ডও চেয়েছেন অনেক সরকারি কর্মচারী।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নতুন নতুন তথ্য আসছে
একজনের দাবি এমন-দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি খাবো কি!’!
চড়াদামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য দিনদিন সাধারণ কর্মচারীর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম। ফলে পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ যেন নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।
একজন সাধারন সরকারী কর্মচারীর দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতির কারণে স্বাভাবিক জীবন নির্বাহ করতে কষ্ট হচ্ছে। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতনকাঠামো তৈরীর জোড় দাবী জানাচ্ছি।
অল্প বেতনে চাকরীর করার ফলে আমরা সাধারন কর্মচারীরা হতাশায় ভুগছি। বাড়ি ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচে সাথে দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
তাই মাননীয় সরকার প্রধানের প্রতি সদয় আবেদন সাধারন কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে বেতন বৈষম্য দুর করে নতুন পে-স্কেল ঘোষনার জোড় দাবী জানাচ্ছি।
সোনালীনিউজ/আইএ