ঢাকা : ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও কোমলপানীয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছিল দেশের একাংশ। এবার একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে সেই বয়কটের আগুনে ঘি ঢেলেছে কোকাকোলা। বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর বয়কটের ডাকে এখন সরব সোশ্যাল মিডিয়া।
‘যেই দোকানে থাকবে কোক সেই দোকান-ই বয়কট হোক’— এমন অভিনব স্লোগানে কোকাকোলা বয়কটের দিচ্ছেন নেটিজেনরা। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করা শিল্পিদের বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন তাঁরা।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের জেরে ইসরায়েলি সমর্থনের অভিযোগে মুসলিম দেশগুলোর নাগরিকেরা কোকাকোলা বয়কটের ডাক দেয়। সেই বয়কটের প্রভাবও পড়ে বাংলাদেশে। সম্প্রতি নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে কোকাকোলা বাংলাদেশ।
সেই বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে—কোককে সবাই যে দেশের পণ্য মনে করছে, আসলে সেই দেশের পণ্য নয় কোকাকোলা। মানুষ সঠিক তথ্য না জেনেই কোকাকোলা বয়কটের ডাক দিয়েছে। ১৯০টি দেশের মানুষ কোক খায়। এমনকি ফিলিস্তিনে কোকাকোলার ফ্যাক্টরি রয়েছে। তাই বিভ্রান্ত না হয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে।
কোকাকোলার এই বিজ্ঞাপনের প্রতিক্রিয়ায় অনেকে বলছেন, ধর্মীও অনুভূতি কাজে লাগাতে মিথ্যাচার করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফিলিস্তিনের কোকাকোলার ফ্যাক্টরি ফিলিস্তিনিদের জায়গা দখল করে করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলছেন অনেকে।
এছাড়া কোকাকোলা কোম্পানিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ থাকা তিন কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে, ভ্যানগার্ড গ্রুপ, ব্ল্যাকরক প্রত্যক্ষভাবে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যাকে সমর্থন করছে বলে অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ আবার কোকাকোলাকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্ত মন্তব্য করে তা বয়কটের ডাক দিচ্ছেন।
[225430]
কোকাকোলার বিজ্ঞাপনটিতে মডেল হিসেবে ছিলেন অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ। তবে বিজ্ঞাপন প্রচারের পর থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলে অভিনয় শিল্পীদের বয়কটের ডাক দেন নেটিজেনরা। তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছেন অনেকে।
এদিকে বয়কটের ডাকের প্রতিক্রিয়ায় অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশ আমার সাথে তাদের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং অভিনয় করার জন্য নিয়োগ করেছিলো। আমি শুধুমাত্র তাদের দেয়া তথ্য ও উপাত্তই কাজটিতে তুলে ধরেছি।...আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আবারো বলতে চাই কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র।
তিনি আরও লিখেছেন, ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি।
এমটিআই