বড় রদবদল আসছে বিএনপিতে

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

ঢাকা: জাতীয় নির্বাহী কমিটির পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-মহানগর কমিটি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের (মেয়াদোত্তীর্ণ) কমিটি ভেঙে নতুন নেতৃত্ব গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির শূন্য পদও পূরণ করা হবে। 

৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর অংশ হিসাবে বিলুপ্ত বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের নতুন কমিটি যে কোনো সময় দেওয়া হবে। 

[225929]

পর্যায়ক্রমে খুলনা, কুমিল্লা, গাজীপুর, রাজশাহী মহানগরসহ অন্তত আরও সাতটি সাংগঠনিক জেলা কমিটি যে কোনো সময় ভেঙে দেওয়ারও আভাস পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকার আশপাশের জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়েও শিগরিই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই নেতা বলেন, বেশ কয়েকজন পদ নিয়েছেন; কিন্তু তাদের দলের কোনো কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি, এটি সত্য। তবে অনেক নেতার বিএনপিতে পদ নেই, তবুও তারা সব কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং নানা ভূমিকা পালন করছেন।

কয়েকটি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিষ্ক্রিয়দের বাদ দিয়ে পরীক্ষিত ও যোগ্যদের স্থান দেওয়ার বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। শূন্য পদ পূরণেরও নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। এ প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে শূন্য পদে বেশ কয়েকজনকে স্থান দিয়েছেন।

[225560]

এদিকে বিএনপিতে আকস্মিক রদবদলের কারণ কী হতে পারে, তা স্পষ্ট নয় দলটির নেতাকর্মীদের কাছে। দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, সরকারের দমননীতি, মামলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকদিন ধরেই তাদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে পুনর্গঠনের তাগিদ ছিল। সেই তাগিদ থেকেই তারেক রহমান তার ক্ষমতাবলে কমিটিতে রদবদল এনেছেন। হয়তো এটি কোনো কৌশল হতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নতুন করে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর চিন্তা থেকেও এ পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

আবার রদবদলের পর কাউন্সিল নিয়ে বিএনপিতে এখন দুই ধরনের আলোচনা রয়েছে। কোনো কোনো নেতা মনে করছেন, দলের স্থায়ী কমিটিসহ আরও কিছু পর্যায়ে রদবদলের পর সীমিত পরিসরে কাউন্সিল করা হতে পারে। 

আবার দলের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ মনে করেন, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমে এ বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে শিগগিরই কাউন্সিল করার সম্ভাবনা নেই।

সূত্র-যুগান্তর

আইএ