কিডনির সুস্থতার জন্য যা করতে হবে

  • স্বাস্থ্য ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩, ১২:৩৯ পিএম

ঢাকা : আজ বিশ্ব কিডনি দিবস। পৃথিবী জুড়ে ৮৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এ সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কিডনির অসুখে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। কিডনি ফেইলুর অত্যন্ত মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে।

শুধু আক্রান্ত ব্যক্তি নন, পরিবার এবং অর্থনীতির ওপরে নেমে আসে মহাবিপর্যয়। কিডনি রোগ থেকে মুক্ত থাকতে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে কিডনি রোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করা যায়।

অতিরিক্ত ওষুধ পরিহার করুন : অতিরিক্ত ওষুধ বিশেষত ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির জন্য ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। সুতরাং যখনই সম্ভব ওষুধের তালিকা ছোট করে ফেলুন। সামান্য ব্যথা-বেদনায় ওষুধ সেবনের বাতিক থেকে বেরিয়ে আসুন।

ডায়াবেটিসে কিডনির ক্ষতি : ডায়াবেটিস কিডনির শত্রু। বিশ্বব্যাপী কিডনি ফেইলুরের অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। সেজন্য রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

পরিমিত পানি পান করুন : শরীরে যাতে পানিশূন্যতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডায়রিয়া হলে শুরু থেকেই খাবার স্যালাইন দিতে হবে, যাতে ভয়ানক পরিণতি সৃষ্টি না হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় বর্জ্যপদার্থ কিডনির মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। প্রতিদিন সে কারণে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত গরমের মধ্যে কাজ করেন, যাদের ঘর্ম নিঃসরণ বেশি হয় তাদের সে অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পাশাপাশি কিডনির ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করে। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং পরিমিত খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ধূমপান, অ্যালকোহল বিপর্যয়কর : ধূমপান এবং অ্যালকোহল শরীরের সবগুলো অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেজন্য ধূমপান এবং অ্যালকোহলমুক্ত জীবনযাপন সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন : উচ্চ রক্তচাপ থেকে হতে পারে কিডনি ফেইলুর। আবার কিডনি ফেইলুর হলেও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে পড়ে কষ্টসাধ্য। সেজন্য যাপিত জীবনে পরিবর্তন আনায়নের পাশাপাশি ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে অবশ্যই রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার ও শরীরচর্চা : যেসব খাদ্যে অতিরিক্ত সোডিয়াম রয়েছে সেসব খাবার পরিহার করতে হবে। যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের অবশ্যই পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চা সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অভ্যাস : বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত জেনে নিন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই