ঢাকা : লিভারের অসুখের জন্য অনেকাংশে দায়ী আমাদের নানা ভুল অভ্যাস। বিশেষ করে ভুল খাবার নির্বাচন ও সঠিক উপায়ে না খাওয়া এর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ না করা, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, ঘুমে অনিয়ম করার মতো অভ্যাসের জন্য লিভারে সমস্যা হয়ে থাকে। লিভারে সমস্যা হলে অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়, সেই সঙ্গে অত্যধিক হারে চুল পড়ে। চোখের চারপাশে দেখা যেতে পারে কালচে দাগ বা ডার্ক সার্কেল। কমে যাবে ক্ষুধা। সারাক্ষণ ক্লান্ত, ঝিমানো ভাব থাকবে।
লিভার সুস্থ রাখা খুবই প্রয়োজন। সামান্য সমস্যা দেখা দিলেও অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। এছাড়াও আপনি চাইলে প্রতিদিনের মেনুতে কয়েকটি খাবার রাখতে পারেন, যেগুলো লিভারের লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারবে।
আঙুর: লিভার ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কিছু পরিমাণ আঙুর খেতে পারেন। তবে বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই বুঝে খেতে হবে। বেশি আঙুর খাওয়া যাবে না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কালো এবং লাল রঙের আঙুরের মধ্যে রয়েছে রেসভেরাট্রল। এই উপকরণ লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে।
মাছ: ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ লিভারের জন্য উপকারী। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের নানা রকম প্রদাহের থেকে দূরে রাখে। সেইসঙ্গে ঠিক রাখে উৎসেচকের ক্ষরণও। খাবারের তালিকায় স্যামন ফিশ রাখলে এক্ষেত্রে উপকার পাবেন। এছাড়াও রাখতে পারেন ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত অন্যান্য মাছও।
[204414]
ফুলকপি, বাঁধাকপি,ব্রকলি: ব্রকলির রয়েছে অনেক গুণ। লিভার ভালো রাখতেও সবুজ রঙের এই ফুলকপি কাজে লাগে। বাঁধাকপি খাওয়াও লিভারের জন্য ভালো। তরকারি বা সালাদে বাঁধাকপি খেতে পারেন। একটু সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকারী। কাঁচা খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসলে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি সবটাতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এইসব সবজি হেলদি এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে। এর ফলে কমে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ভালো থাকে লিভার।
বাদাম: সব ধরনের বাদামই অল্প করে খেতে পারেন প্রতিদিন। এতে শরীরে অনেক ধরনের উপকার মিলবে। কারণ এতে থাকে ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি। এসব উপাদান লিভার ভালো রাখতে কাজ করে।
রসুন: অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে এক বা দুই কোয়া কাঁচা রসুন খান। এই রসুন লিভারের পক্ষে ভালো। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ লিভারের থেকে ফ্যাট কমায়। ফলে লিভার ভালো থাকে। তবে কাঁচা রসুন যতটা উপকারী, রান্নায় ব্যবহারের পরে আর ততটা উপকারী থাকে না।
ওটস: সকালের নাস্তায় আজকাল অনেকেই ওটস খেয়ে থাকেন। পেট ভরিয়ে রাখে এই খাবার। দ্রুত ওজন কমায়। এর পাশাপাশি ওটস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার এবং বিটা-গ্লুকেন লিভার ভালো রাখে। ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা মানবশরীরের পক্ষে ভালো।
বিটরুট জুস : এই বিটরুট জুস বা বিটের রস খেলেও লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এর মধ্যে রয়েছে বিটালিন এবং নাইট্রেটস। বিটরুট জুস অ্যাসিডিটি এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সমস্যা কমায়। শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করতেও সাহায্য করে।
এমটিআই