১০ বিষধর সাপের তালিকায় নেই রাসেলস ভাইপার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক:  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেন। ফাইল ছবি:

ঢাকা: সম্প্রতি বহুল আলোচিত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপটি সারাবিশ্বের ১০টি বিষধর সাপের তালিকার মধ্যে নেই বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ‘রাসেলস ভাইপার: ফেরার ভার্সেস ফ্যাক্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। 

দেশে পর্যাপ্ত এন্টিভেনমের মজুদ রয়েছে এবং উপজেলা পর্যায়ে তা পৌঁছানো হয়েছে, সুতরাং রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার পরামর্শ নিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

[226437]

স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, জনগণের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে, রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। আমি রোগীকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান করেছি। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের এন্টিভেনমের সংকট নেই।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সাংবাদিক ভাই বোনেরা, আপনারা বাংলাদেশের মেডিসিনের আজকে যারা কর্ণধার তাদের মুখেই শুনলেন রাসেলস ভাইপারে আক্রান্ত হলে কি করণীয় আর কি করণীয় না। আপনারা এ মেসেজগুলো আমাদের জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। আপনারাই কিন্তু পাড়েন জনগণের কাছে রাসেলস ভাইপারে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তাটা পৌঁছে দিতে।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালে আমরা শুনেছিলাম, ঢাকার রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে থাকবে। চিকিৎসকদের কল্যাণে তা হয়নি। এবারও সবার চেষ্টায় এ সমস্যা থেকে আমার উত্তরণ করতে পারবো।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশে সবাই ডাক্তার। এটি একটি বড় সমস্যা। আমাদের এখানে যেকোনো রোগে মানুষ নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ওষুধ খায়। এমনকি এন্টিবায়োটিকও খায়। সাপের কামড়ে ওঝাদের কাছে না গিয়ে যেকোনো রোগে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাপের বিষয়ে আমরা সচেতনা তৈরির চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, দেশে ৬৬৫ জনকে প্রতিদিন কুকুরে কামড়ায়। ডুবেও অনেক সংখ্যক মানুষ মারা যায়। রাসেলস ভাইপারে কামড়ের সংখ্যা আরও অনেক কম। এ বিষয়ে আতঙ্ক তৈরি না করে সচেতন হবে। ভয় তৈরি করা যাবে না।

আইএ