ঢাকা : এ বছর ডেঙ্গু রোগীদের দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও রোগটিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তুলনামূলক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৩ সালের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু সংক্রমণ কম থাকলেও আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। অন্যদিকে এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছে।
[238698]
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমরা মৃত্যুর কারণ জানার জন্য ডেথ রিভিউ শুরু করছি। আমাদের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি। রোগীরা একেবারেই শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে আসছেন। তখন সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়াও সম্ভব হয়ে উঠে না।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই এক থেকে দুই দিনের মাঝে মারা যাচ্ছেন। একেবারে ক্রিটিকাল অবস্থায় আসছেন হাসপাতালে। রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় আসলে এই অসুবিধা হতো না।
মহাপরিচালক জানান, দেশে ঢাকা সিটিতে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা বেশি মারা যাচ্ছেন, যাদের বেশিরভাগই কর্মক্ষম ব্যক্তি। তবে চট্টগ্রামে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হলো ডেঙ্গু হলে মানুষ গুরুত্ব কম দিচ্ছে, তাই মৃত্যুটা বাড়ছে।
চিকনগুনিয়ায় ৬৭ ও জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত : দেশে চলতি বছর চিকনগুনিয়ায় ৬৭ ও জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এডিস মশার মাধ্যমেই ছড়ায় চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস। এই রোগদুটি নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই। জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশর ক্ষেত্রেই কোনো লক্ষণই দেখা দেয় না। এ ছাড়া এই রোগে মৃত্যুর হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
এমটিআই