ঢাকা: আফগানিস্তানের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন। হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। আজ মঙ্গলবার দেশাটিতে জাতীয় শোক পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এ ঘটনার পর বন্দুকধারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলেছে।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, তিন বন্দুকধারী নিহত হওয়ার পর এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) একটি আঞ্চলিক গ্রুপ।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরানের বইমেলা চলার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সরকারি কর্মকর্তাদের মেলায় উপস্থিত হওয়ার আগ মুহূর্তে শুরু হয় এই হামলা। আজ মঙ্গলবার আফগানিস্তানে জাতীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
হামলা শুরুর পরপরই তালেবানরা দাবি করেন, এ ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। হামলার নিন্দাও জানায় তারা। এর কয়েক ঘণ্টা পরই হামলার দায় স্বীকার করে আইএসের আঞ্চলিক গ্রুপটি।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেছেন, ‘এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের’ প্রতিশোধ নেবে কর্তৃপক্ষ।
আফগানিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর আগেও হামলা চালিয়েছে আইএস। সর্বশেষ গত মাসে রাজধানী কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় আইএস, যাতে ২৪ জন নিহত হয়।
২০১৮ সালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চালানো এক হামলারও দায় স্বীকার করে আইএস, যাতে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
সোনালীনিউজ/এমএইচ