ঢাকা: গোটা বিশ্বের দৃষ্টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশটিতে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায়) নির্বাচনে প্রথম ভোট পড়বে। তবে প্রতিবার যেমন করে নজর থাকে কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তা দেখার জন্য, এবার তা হচ্ছে না। কারণ, হারলে পরাজয় মেনে নেবেন কিনা; নির্বাচনি প্রচারকালে তা নিয়ে সংশয়ের জন্ম দিয়েছেন ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সবার চোখ তাই ভোট পরবর্তী অনিশ্চয়তায়। বিশ্লেষকরাও ট্রাম্পের শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে সন্দিহান।
পুরো দুনিয়া তাই আগ্রহ নিয়ে পর্যব্ক্ষেণ করছে মার্কিন নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হবেন; নতুন প্রেসিডেন্টের বিদেশ নীতি কেমন হবে পৃথিবীর বহু দেশের জন্যই তা গুরুত্বপূর্ণ। নানা কারণে দেশটির অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাও বাইরের দুনিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় বৈদেশিক নীতি গবেষণা দল চ্যাট্যাম হাউজ বলছে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন, তিনি আমেরিকার কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পদ কিভাবে কাজ করছে এবং বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র তার বর্তমান মিত্র ও বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক বিদ্যমান রাখবে তা নির্ধারণ করবেন। যিনিই হোয়াইট হাউজে বসবেন, তিনিই যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের স্বরূপ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তার পথনির্দেশনা নির্ধারণ করবেন। এটি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
এদিকে, এবারের নির্বাচনে রেকর্ড ৯ কোটি ৬০ লাখ আগাম ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএস ইলেকশনস প্রজেক্ট। আগাম ভোটের এই সংখ্যাই এবারের নির্বাচনের প্রতি মার্কিন নাগরিকদের আগ্রহের জানান দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, গত ১০০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়বে।
বিশ্বের শক্তিধর দেশ হওয়ার বাইরের দেশের সাধারণ মানুষেরও মার্কিন নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচ