ঢাকা: সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং একইসাথে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত যেন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার হাজার ২৮৫ জনে।
এছাড়া, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৯৭৭ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে এক কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ৯৫ লাখ ৭১ হাজার মানুষ ৫৫৯ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৮৮ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৬৫ লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৪ জনের।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৭২ জনে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একদিনে নতুন করে ২ হাজার ২৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯১ জনে পৌঁছেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৮ ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৫২৭টি। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৪৩০টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪১১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪.৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.৭১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫৭২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৫১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং নারী চারজন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোনালীনিউজ/এমএইচ