ঢাকা: ভারতে করোনার টিকা যখন ছাড়পত্র পেল, তখন দেশটির কোভিড সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসার পথে। গত চারদিন দৈনিক আক্রান্ত ২০ হাজারের নিচে, যা আজও তা অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে আগের তুলনায় কমেছে প্রাণহানিও। তারপরও আজ মৃতের সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁতে চলেছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৩৭৫ জন। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে প্রাণ ঝরেছে ২০১ জনের। এ নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫০ জনের ঠেকেছে। দেশটিতে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রে (৪৯ হাজার ৬৯৫)। কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুতে তা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে তা সাড়ে ১০ হাজার পার করেছে। মৃত্যু তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৯ হাজার ৮১৭), উত্তরপ্রদেশ (৮ হাজার ৪১৩) ও অন্ধ্রপ্রদেশ (৭ হাজার ১১৮)।
এ সবের পাশাপাশি দেশে সুস্থতার হার শুরু থেকেই বেশি। আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়া কোটির দোরগোড়ায়। যার সংখ্যা ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৮ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯ হাজার ৯১ জন রোগী। এই সুস্থতার জেরে সক্রিয় রোগীর ২ লাখ ৩১ হাজার ৩৬ জনে থেমেছে।
দেশের মোট আক্রান্তের মধ্যে ১৯ লাখ ৪৭ হাজার মহারাষ্ট্রের। দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ সেখানে। বাকি সব রাজ্যে মোট আক্রান্ত ১০ লাখের নিচে। কর্নাটকে তা ৯ লাখ পার করেছে, অন্ধ্রে ৮ লাখ ৮৩ হাজার, তামিলনাড়ুতে ৮ লাখ ২১ হাজার। কেরলে ৭ লাখ ৭৮ হাজার পার করে বাড়ছে, দিল্লিতে ৬ লাখ ২৭ হাজার। উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে মোট আক্রান্ত। বাকি রাজ্যগুলিতে ৩ লাখের গণ্ডিতে রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।
পশ্চিমবঙ্গেও দৈনিক আক্রান্ত উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে গত ক’দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৭ জন। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৭২ জন। যদিও এর মধ্যে ৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সোনালীনিউজ/এমএইচ