ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলতি জুলাই মাসেই ৭২ ঘণ্টায় আলাদা আলাদা চার শতাধিক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আর এসব গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে কমপক্ষে দেড়শ’ মানুষের। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো না কোনো অঙ্গরাজ্যে গোলাগুলির শিকার হচ্ছেন মর্কিনিরা। স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ৪০০ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ওই তথ্যের বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জুলাই শুরুর দিন শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত বন্দুক সহিংসতার শিকার হয়ে এই সংখ্যক লোক নিহত হয়েছে যা আরও বাড়বে এবং হালনাগাদ করা হবে। কেবল নিউইয়র্কেই শুক্রবার থেকে রোববার এই ৭২ ঘণ্টায় ২১টি গোলাগুলির ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছে। শহরটিতে কয়েক বছরে বন্দুক সহিংসতার হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। গত বছরও একই সময়ে শহরটিতে ২৫টি গোলাগুলির ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩০ জন। এসব তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
ছুটির দিন রোববারেই (৪ জুলাই) ১২টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং ১৩ জন এই সহিংসতার শিকার হয়। গতবছর একইদিনে আটটি গোলাগুলির ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেছে শহরটির পুলিশ বিভাগ। ২০২০ সালের তুলনায় চলতি বছরে কেবল নিউইয়র্ক শহরেই বন্দুক সহিংসতা বেড়েছে ৪০ শতাংশ।
গতবছর শহরটিতে ৭৬৭টি গোলাগুলির ঘটনায় ৮৮৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। শিকাগোতে গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৮৩ জন গুলিবিদ্ধ হয় যার মধ্যে মারা গেছে ১৪ জন।
পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডেভিড ব্রাউন ক্রমবর্ধমান বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই তিনদিনের মধ্যে ৫ ও ৬ বছরের দুই কিশোরীও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
কেবল নিউইয়র্ক কিংবা শিকাগোই নয়- আটলান্টা, টেক্সাস, ভার্জিনিয়াসহ অন্যান্য রাজ্যেও যথেচ্ছ ব্যবহৃত হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রের। যদিও বাইডেন প্রশাসন ক্রমবর্ধমান এই বন্দুক সহিংসতা বন্ধে নতুন আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সূত্র : সিএনএন
সোনালীনিউজ/এমএএইচ