ঢাকা : অবশেষে তালেবানের সশস্ত্র অভিযানের মুখে দেশ ছাড়লেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। রোববার (১৫ আগস্ট) আফগানিস্তান ছেড়ে তিনি প্রতিবেশী তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। খবর রয়টার্সের।
দেশটির সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ দোর্দণ্ড প্রতাপে তালেবানের কাবুল দখল করার পর দুটি সূত্রের বরাতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির দেশত্যাগের খবর জানিয়েছে। এর আগে তালেবা প্রতিনিধিদলের প্রেসিডেন্ট গনির প্যালেসে ঢোকার খবর পাওয়া যায়।
ওই দুই সূত্র জানিয়েছে, রোববার তালেবান রাজধানী কাবুলে ঢোকার পর প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশত্যাগ করেন। সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সঙ্গে তার কিছু ঘনিষ্ট উপদেষ্টা ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও চলে গেছেন।
দেশটির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি রোববার সন্ধ্যার দিকে দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট অফিস বলছে, আশরাফ ঘানির ‘নিরাপত্তার জন্য’ তার যাত্রাপথ নিয়ে কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না।
এর আগে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, তালেবানদের দাবি অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা চলছে। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি এখনও আফগানিস্তানে রয়েছেন।
একটি সূত্র আল-জাজিরাকে নিশ্চিত করেছে যে আশরাফ গণি দেশ ছেড়ে যাননি। তিনি পুরো সকাল ফার্স্ট লেডিকে নিয়ে প্রেসিডেনেটের বাসভবনের বাগানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি কি তালেবানদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবেন, নাকি আত্মসমর্পণ করবেন- কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। এর আগে শনিবার আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা তার বক্তব্য জাতির উদ্দেশে প্রচার করা হয়। তবে তার চিফ অব স্টাফ টুইটার একাউন্ট ব্যবহার করে কাবুলের জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বলেছেন, উদ্বিগ্ন হবেন না। কোনো সমস্যা নেই। কাবুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
ওদিকে যেসব মানুষ কাবুল ত্যাগ করতে চান, তাদেরকে নিরাপদে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তালেবানের সিনিয়র নেতারা। এতে বলা হয়, রোববার ভোরে পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহর দখল করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কাবুল দখলের মিশন শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা। কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থানরত তালেবানের এক নেতা বলেছেন, তার যোদ্ধাদের আজ সব রকম সহিংসতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে কাবুল ত্যাগ করতে দেয়ার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ