ঢাকা : ভারতের অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। ঝড়ে নৌকা উল্টে দুই মৎস্যজীবীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েকজন।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূল এবং ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলের মাঝামাঝি জায়গায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে বিশাখাপট্টনম, শ্রীকাকুলামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। নিচু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। ওড়িশার গঞ্জম জেলায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্য হয় একজনের। অন্যদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে মৃত্যু হয়েছে দুই মৎস্যজীবীর।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, শ্রীকাকুলামের একদল মৎস্যজীবী সমুদ্র থেকে ফেরার সময় মান্দাসা উপকূলে গুলাবের কবলে পড়েন। নৌকায় মোট ৬ জন ছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে মাঝসমুদ্রে উলটে যায় নৌকা। নৌকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নিরাপদে উপকূলে পৌঁছাতে পারলেও বাকিরা পারেননি। পরে দুই মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার ও মঙ্গলবার তেলঙ্গানায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তেলঙ্গানার মুখ্যসচিব সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ১৬ হাজার মানুষকে ওড়িশার উপকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থলভাগে ঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই শ্রীকাকুলামে শুরু হয় ঝড়ের দাপট। কলিঙ্গপত্তনমের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোট ৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ১০০ জন।
এর আগে চলতি বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আঘাত হানে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে। ইয়াসের তাণ্ডবে ওডিশায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই