ঢাকা : ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের মধ্যে মস্কোর উদ্দেশ্যে সপরিবারের যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ছাড়ছেন প্রায় ৫০ রুশ কূটনীতিক। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএর'র বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
এর আগে, সাত মার্চের মধ্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত ১২ রুশ কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে গেল সপ্তাহে অনুরোধ জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিনিধি। এরপরই আজ তারা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন।
এদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড মিলস গত সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে বলেন, কূটনীতিক হিসেবে তাদের যে দায়িত্ব সে অনুযায়ী কাজ না করা এবং রীতি বহির্ভূত কার্যকলাপে যুক্ত থাকার কারণে এসব কূটনীতিকদের অপসারণ করা হচ্ছে।
ফ্লাইট রাডার-২৪ এর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বহিষ্কৃত রুশ কূটনীতিকরা রাশিয়ান একটি সরকারি বিমানযোগে রবিবার নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মস্কোর পথে রওনা হন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আজ ১২তম দিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য প্রধান শহর রুশ সেনাদের হামলার শিকার হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় দেশগুলো ঐতিহাসিক পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি গ্রহণ করেছে। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর পারমাণবিক হামলা নিয়ে দুশ্চিন্তা স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। যুদ্ধ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানবিক সংকট।
উল্লেখ্য, ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া দেড় থেকে দুই লাখ সেনা মোতায়েন করে। এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে সেনাবাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেন পুতিন।
ওই অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ৫৫ মিনিটের একটি ভাষণে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেন পুতিন। তিনি এই সংকটের জন্য ন্যাটোকে দায়ী করেন। পুতিনের অভিযোগ ছিল, পশ্চিমা দেশের এই সামরিক জোটটি রাশিয়ার অস্তিত্বের জন্য একটি হুমকি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন পুতিন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই