ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট : মাক্রোঁ না লে পেন?

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৪, ২০২২, ০৭:১৭ পিএম
  ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও মারিন লে পেন। ছবি- ডয়েচে ভেলে

ঢাকা : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ চলছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থক, মধ্যপন্থি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁই ক্ষমতায় থাকছেন নাকি চরম দক্ষিণপন্থি শিবিরের মারিন লে পেনকে নেতা বানাবেন জনগণ তা জানা যাবে আজই।

রোববার (২৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এরপরেই বুথফেরত জরিপ জানানো শুরু হবে।

প্রথম দফা নির্বাচনে ১২ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এতে মাক্রোঁ পেয়েছিলেন ২৭.৮৫ শতাংশ ও লে পেন পেয়েছিলেন ২৩.১৫ শতাংশ ভোট। সে দফায় বামপন্থি জঁ লুক মেলাশঁ পেয়েছিলেন ২১.৯৫ শতাংশ ভোট।

এদিকে সবশেষ জরিপে বলা হয়েছে, মাক্রোঁ ৫৩ থেকে ৫৬ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি লে পেন পেতে পারেন ৪৪ থেকে ৪৭ শতাংশ ভোট।

২০১৭ সালের নির্বাচনে মাক্রোঁ ৬৬ শতাংশ ও লে পেন পেয়েছিলেন ৩৪ শতাংশ ভোট। এবারের ভোট জরিপে মাক্রোঁ এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান কম হওয়ায় তার সমর্থকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

এর আগে ১০ এপ্রিল প্রথম দফা ভোটে কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫০ ভাগ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

তবে ২০০২ সালে জ্যাক শিরাকের পর ফ্রান্সে কোন প্রেসিডেন্ট টানা দুইবার ক্ষমতায় থাকেননি।

দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, প্রথম দফা ভোটে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বামপন্থি নেতা জঁ লুক মেলাশঁ মাক্রোঁকে সমর্থন না দিলেও ভোটারদের লে পেনকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে দ্বিতীয় দফায় তার সমর্থকরা কোন প্রার্থীকে ভোট দেয় সেটা একটা অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

গত টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ইউরোপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন দুই প্রার্থী।

এতে পেন মুসলিম নারীদের হিজাব নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার কথা জানান। তবে এই বিষয়টির বিরোধিতা করেন মাক্রোঁ।

মোট ৪ কোটি ৮৭ লাখ ভোটারের দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম পর্বে ডান-বাম ও মধ্যপন্থি মিলিয়ে ১২ জন প্রার্থী অংশ নেন। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র তিনজন প্রার্থীই ১০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ছেন।

গত দুই দশকে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হতে পারেননি। ম্যাক্রোঁ এ ইতিহাস ভেঙে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হবেন, এক মাস আগেও এ ধারণা অক্ষুণ্ণ ছিল ফ্রান্সে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দুর্বল বিরোধী দল ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা রাখায় প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।

ম্যাক্রোঁর জন্য এবারো লে পেন প্রধান চ্যালেঞ্জ। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর সাথে রান-অফে ছিলেন লে পেন। সেবার অল্প ব্যবধানে জয় পান ম্যাক্রোঁ। সূত্র- ডয়েচে ভেলে ও বিবিসি

সোনালীনিউজ/এমটিআই