ঢাকা : আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৯৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। খবর বিবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরা।
মঙ্গলবার (২১ জুন) গভীর রাতে আফগানিস্তানের পাকতিকা ও খোস্ত প্রদেশে এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও ৬০০ জনের বেশি।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামগুলোর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যে কারণে ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
স্থানীয় একজন চিকিৎসক বিবিসিকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে পাকতিকার গায়ান ও বারমাল জেলায়। স্থানীয় মিডিয়া সাইট ইতিলাত-ই রোজ জানিয়েছে, গায়ানের একটি পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পাশাপাশি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের আঘাতে অনেক ঘরবাড়ি একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং মৃতদেহ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেছেন, উদ্ধার কাজ পরিচালনা, আহতদের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী এবং খাদ্য পৌঁছানোর জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
২০০২ সালের পর বুধবারের এই ভূমিকম্পটি আফগানিস্তানে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, বুধবার ভোরের দিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত পার্বত্যাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। খোস্ত শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ভূপৃষ্ঠের ৫০ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে।
ভূমিকম্পে যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশের। এই প্রদেশে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২৫৫ জন নিহত এবং আরও ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
গত ১০ বছরে, দেশটিতে ভূমিকম্পে ৭০০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় রিপোর্ট করেছে। ভূমিকম্পে বছরে গড়ে ৫৬০ জন মারা যায়।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ