ঢাকা : তাইওয়ান থেকে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যাওয়ার পরই শুরু হয় চীনের সামরিক শক্তির প্রদর্শন। বর্তমানে তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক কুচকাওয়াজ করছে তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) একেবারে গোলাবারুদ-সহ চীনের সামরিক কুচকাওয়াজ চলবে। তাইওয়ানকে পুরোপুরি ঘিরে ধরে এই কুচকাওয়াজ হবে। তাইওয়ানের দাবি, চীন এই কুচকাওয়াজ শুরু করলে ১৮টি আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ করে দিতে হবে।
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল চীন। তা সত্ত্বেও পেলোসি তাইওয়ান গেছেন। চীন এখন তাদের সামরিক শক্তির কিছুটা আভাস যুক্তরাষ্ট্রকে দেখিয়ে প্রতিবাদ জানাতে চাইছে।
সামরিক ড্রিল নিয়ে যা জানা গেছে : চীনের সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, এই কুচকাওয়াজ হলো মূলত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। তবে সেই সময় গোলাবারুদ ছোড়া হবে। স্থানীয় সময় বিকেল চারটা থেকে তা শুরু হবে এবং রবিবার পর্যন্ত চলবে। কিছু জায়গায় তাইওয়ানের সমুদ্রতটের ২০ কিলোমিটার দূরে এই ড্রিল হবে।
সরকারি ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ছিল উসকানিদাতা।
এদিকে তাইওয়ান বলেছে, চীনের এই সামরিক ড্রিল আঞ্চলিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদের কারণ। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চীন অযৌক্তিক কাজ করছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাইপেই সতর্ক। সব জাহাজ ও নৌকাকে বলে দেয়া হয়েছে, ড্রিল চলার সময় তারা যেন সমুদ্রে না যায়। বুধবার চীনের যুদ্ধজাহাজ ও ড্রোন তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়েছিল বলে তাইপেই অভিযোগ করেছে।
পশ্চিমা দেশের নিন্দা : ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বরেল চীনের এই সামরিক ড্রিলের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ড্রিলের কোনো যৌক্তিকতা নেই। জি৭-ও একই কথা বলেছে। তাদের মতে, এর ফলে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়বে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
সোনালীনিউজ/এমটিআই