চীনে কোভিডে মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসছে না: ডব্লিউএইচও

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ১২:৪০ পিএম

ঢাকা : চীনের দেওয়া তথ্যে দেশটিতে কোভিডের সত্যিকারের প্রভাব বিশেষ করে মৃত্যুর বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না জানিয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কিছুদিন আগেও বিশ্বের মধ্যে চীনেই সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ ছিল।

কিন্তু লকডাউন ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা এবং বারবার শনাক্তকরণ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ধকল আর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে তিতিবিরক্ত চীনাদের বিক্ষোভের মুখে দেশটি গত মাসেই সব বিধিনিষেধ একে একে তুলে নেওয়া শুরু করে, যা হুট করেই চীনজুড়ে কোভিডের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। 

তা সত্ত্বেও চীন ডিসেম্বরে কোভিডে মাত্র ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে; সংজ্ঞা বদলানোর কারণেই দেশটি সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এত কম দেখাতে পেরেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আমাদের মনে হয়, তাদের কোভিডে মৃত্যুর সংজ্ঞাটি খুবই সংকীর্ণ, ডব্লিউএইচওর জরুরি বিভাগের পরিচালক ড. মাইকেল রায়ান এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তিনি বলেন, চীনের তথ্যে হাসপাতালে ভর্তি, নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে ভর্তি এবং বিশেষ করে মৃত্যুসহ কোভিডের সত্যিকারে প্রভাব সঠিকভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে না।

চীন গতমাসে তাদের কোভিডে মৃত্যুর সংজ্ঞাতে বদল এনেছে। তাদের নতুন সংজ্ঞার কারণে এখন কেবল শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুই কোভিডে মৃত্যু বলে গণ্য হচ্ছে।

এটা ডব্লিউএইচও-র নির্দেশনার পরিপন্থি, বৈশ্বিক এ সংস্থাটি দেশগুলোকে স্বাভাবিক সময়ে প্রত্যাশিত মৃত্যুর চেয় কোভিডের সময়ে কত অতিরিক্ত মৃত্যু হল, তার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু বের করতে উৎসাহিত করে।  

ড. রায়ান জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ডব্লিউএইচও-র সঙ্গে চীনের যোগাযোগ বেড়েছে এবং দেশটির কাছ থেকে আরও বিপুল তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

স্বাস্থ্যকর্মীরাও চাইলে ব্যক্তিগতভাবে তথ্য ও তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে, বলেছেন তিনি।

“কোভিড রোগী ও তাদের মৃত্যুর তথ্য দিতে চিকিৎসক ও নার্সদেরও অনুৎসাহিত করিনা আমরা। সমাজে রোগটির সত্যিকারের প্রভাব রেকর্ড করতে আমাদের খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে,” বলেছেন ডব্লিউএইচও-র এই কর্মকর্তা।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য তথ্য বিষয়ক কোম্পানি এয়ারফিনিটির অনুমান, চীনে এখন প্রতিদিন ২০ লাখের বেশি লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, মৃত্যু হচ্ছে ১৪ হাজার ৭০০ জনের।

মাসখানেক আগে চীন তার ‘শূন্য কোভিড’ নীতির গুরুত্বপূর্ণ সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশটির হাসপাতাল ও শবাগারগুলোতে ভিড় বাড়ার খবর পাওয়া গেছে।

এরই মধ্যে ডজনেরও বেশি দেশ চীন থেকে আগত যাত্রীদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বেইজিং এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অ্যাখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোরও হুমকি দিয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই