ইউক্রেনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলে নিল রাশিয়া

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ১২:৫৪ পিএম

ঢাকা : পূর্ব ইউক্রেনে দোনবাস অঞ্চলে তীব্র যুদ্ধের পর গুরুত্বপূর্ণ সোলেডার শহরের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এক মাস ধরেই এ শহরটির নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই চলছিল। তবে গত চার দিনে রুশ বাহিনী ও তাদের সমর্থক ওয়াগনার গোষ্ঠীর যোদ্ধারা নতুন নতুন জায়গা দখল করেছে। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ‘সম্ভবত’ শহরটির অধিকাংশ এলাকাই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।

লবণের খনিসমৃদ্ধ প্রায় ১০ হাজার লোকের শহর সোলেডারের অবস্থান বাখমুট শহরের কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং এটির দখল রুশ বাহিনীর হাতে চলে গেলে বাখমুটের নিয়ন্ত্রণ দখলের যুদ্ধে তারা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবে।

তা ছাড়া সম্প্রতি রুশ বাহিনী বেশ কয়েকটি লড়াইয়ে বিপাকে পড়ার পর সোলেডারের এ বিজয় হবে তাদের জন্য একটি ভালো খবর।

সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তাও বলেছেন যে সোলেডার শহরের এক বড় অংশই এখন রুশদের দখলে।

বাখমুটেও তীব্র যুদ্ধ চলছে এবং রুশ ও ইউক্রেনীয় উভয় বাহিনীরই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বলা হচ্ছে ১১ মাস আগে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর অন্যতম তীব্র ‘পরিখা যুদ্ধ’ হচ্ছে এখানে।   

ব্রিটিশ গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে বলা হচ্ছে— সোলেডার দখলের মধ্য দিয়ে রাশিয়া সম্ভবত উত্তর দিক থেকে বাখমুটকে ঘিরে ফেলা এবং ইউক্রেনীয় যোগাযোগের পথগুলো বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।

সোলেডারে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকা সাংবাদিক ইউরি বুটুসভ জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী সোলেডার শহরে ইউক্রেনের রসদপত্র সরবরাহের পথটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এ পথ দিয়ে স্বাভাবিক চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে, যা প্রতিরক্ষার জন্য জরুরি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ব্যাপক ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও বাখমুট ও সোলেডারে ইউক্রেন দখল ধরে রেখেছে।

তিনি বলেন, সোলেডারে এখন প্রায় কোনো জীবিত প্রাণী নেই এবং একটি দেয়ালও দাঁড়িয়ে নেই । রুশ সেনাদের মৃতদেহ দিয়ে সোলেডারের মাটি ঢাকা পড়ে গেছে।

গত কয়েক মাস ধরে প্রিগোশিনের যোদ্ধারা বাখমুট ও সোলেডার দখলের জন্য লড়াই করে চলেছে এবং এতে উভয়পক্ষেই বহু প্রাণহানি হয়েছে।

যুক্তরাজ্য বলছে, যে জায়গাগুলোতে লড়াই চলছে, তার একটি হচ্ছে— সোলেডারের অব্যবহৃত কিছু খনির ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখগুলো।

রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েরই ধারণা, তাদের রক্ষণব্যুহ ভেদ করে ঢুকে পড়ার জন্য প্রতিপক্ষ এ সুড়ঙ্গগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।

ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোশিন বলেন, এ সুড়ঙ্গগুলো মাটির নিচে কয়েকটা শহরের নেটওয়ার্কের মতো এবং এগুলো মাটির ৮০-১০০ মিটার নিচে, যা বড় সংখ্যায় লোক ধারণ করতে করতে সক্ষম। তা ছাড়া এগুলো দিয়ে ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক যানও অবাধে চলাচল করতে পারে।

প্রিগোশিন এ খনিগুলোর ব্যাপারে তার আগ্রহ নিশ্চিত করে বলেছেন, বাখমুট এলাকার কৌশলগত গুরুত্বের দিক থেকে এগুলোর দখল নেওয়া জরুরি। সূত্র: বিবিসি ও আলজাজিরা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই