ঢাকা : তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে পর একের পর এক বিভিন্ন দেশে আঘাত হানছে ভূমিকম্প। এবার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি শক্তিশালী ‘অগভীর’ ভূমিকম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ২টায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চল।
জানা গেছে, ভূমিকম্পটি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয় দেশটির মাসবাতে প্রদেশে। রাতের বেলা হঠাৎ করে শক্তিশালী কম্পনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন বেশিরভাগ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাসবাতে প্রদেশের মূল দ্বীপের মিয়াগা গ্রামের ১১ কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে।
মাটির অগভীরে যেসব ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয় সেগুলো অন্যান্য ভূমিকম্পের তুলনায় অনেক ভয়ানক হয়। অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও সবচেয়ে বেশি হয়। ফিলিপাইনে মাঝরাতে ভূমিকম্প আঘাত হানায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
এদিকে মাসবাতে প্রদেশের পুলিশ প্রধান রলি আলাবানা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল। যখন কম্পন শুরু হয় আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। এরপর আমি জেগে যাই।’
বড় ভূমিকম্পের পর আফটারশকের (পরাঘাত) আতঙ্কে আছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে এখন নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
মাসবেত প্রদেশে বৃহস্পতিবার সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কারণ এখনো প্রদেশটি ছোট ছোট ভূমিকম্পে বার বার কেঁপে উঠছে।
অপরদিকে ওসন অঞ্চলের পুলিশ প্রধান ক্যাপ্টেন রেডেন তোলেদো বলেছেন, ‘অনেকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে গেছেন। এমনকি আমিও সম্ভাব্য আফটারশকের কারণে বাইরে চলে এসেছি।’
তিনি জানিয়েছেন, ওসনে কোনো বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে যাবেন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে ফিলিপাইনে সর্বশেষ ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। সে সময় ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দেশটি। ওই বছরেই জুলাইয়ে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভূমিধসে ১১ জন প্রাণ হারান। সূত্র: এএফপি
সোনালীনিউজ/এমএএইচ