ঢাকা : ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে তুমুল লড়াইয়ের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাল্টা আক্রমণ নিয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে কিয়েভ।
শুক্রবার (৯ জুন) ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে রণক্ষেত্রে এই লড়াই হয় বলে দাবি করছে মস্কো। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের আক্রমণের তীব্রতা বা মাত্রা কেমন বা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা রেখা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত সেনা অংশগ্রহণ করার কথা। যাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছে পশ্চিমারা। গত কয়েক মাস ধরে প্রতিরক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া রাশিয়া বলছে, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে ইউক্রেনের হামলা প্রতিহত করে যাচ্ছে। কিয়েভ এখনো বলেনি তাদের আক্রমণ শুরু হয়েছে।
রুশপন্থি সামরিক ব্লগাররা শুক্রবার জাপোরিঝিয়া রণক্ষেত্রে তুমুল লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। অরোখিভ শহরের কাছাকাছি অঞ্চলে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী একটি স্থল সংযোগের মাঝামাঝিতে এই লড়াই হয়। এই স্থল সংযোগকে ইউক্রেনের একটি সম্ভাব্য প্রধান নিশানা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
আক্রমণের সময় ইউক্রেন সাধারণ সাংবাদিকদের রণক্ষেত্র থেকে সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি দেয় না।
পাল্টা আক্রমণের শুরুটা ডিনিপ্রো নদীর কাখোভকা বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বিপর্যয়ের আড়ালে চাপা পড়ে গেছে। বাঁধের পানিতে প্লাবিত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কৃষি ও প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার কিয়েভ বলেছে, তারা একটি ফোন কল থেকে জানতে পেরেছে বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রণে থাকা রুশ বাহিনী। রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেন এই নাশকতা চালিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, তারা এখনও প্রমাণ সংগ্রহ করছে। তবে এমন বিপর্যয় ডেকে আনার মতো ইউক্রেনের কোনও কারণ নেই। বিশেষ করে যখন তাদের বাহিনী আক্রমণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
রণক্ষেত্রের সর্বশেষ বুলেটিনে রাশিয়ার সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টা ইউক্রেনের ২১টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। স্বতন্ত্রভাবে রয়টার্সের পক্ষে এই দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বাখমুত শহরের পূর্বাংশে ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে ইউক্রেন। গত মাসে প্রায় এক বছর ধরে লড়াইয়ের পর শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ সেনারা। এমন দাবি করলেও কিয়েভ দক্ষিণ রণক্ষেত্র নিয়ে কার্যত কিছু বলেনি। ধারণা করা হচ্ছে, এই রণক্ষেত্রেই ইউক্রেনের মনোযোগ রয়েছে সর্বাধিক। কারণ, তারা রুশ সেনাদের উপকূলের দিকে ঠেলে দিতে যায় এবং ক্রিমিয়াকে রাশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই