ঢাকা : রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভাড়াটে সেনাদল ওয়ানগার গ্রুপের বিদ্রোহ ঘোষণার পর রাজধানী মস্কোসহ বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে রাশিয়া।
সরকারি ভবন, বাস, রেলস্টেশনসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় সেনাসদস্যরা টহল দিচ্ছেন। দেশটির রুস্তভ শহরের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে রুশ প্রশাসন। বিদ্রোহের ঘোষণার পর ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষেরও খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার এক অডিওবার্তায় বিদ্রোহের ডাক দেন ইউক্রেন যুদ্ধে রুশবাহিনীর অন্যতম সহযোগী ও বেসরকারি সামরিক বাহিনী পিএমসি ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। বিদ্রোহ রুখতে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ক্রেমলিন।
[201867]
অডিওবার্তায় নিজের মুখপাত্রের মাধ্যমে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, ‘তারা (রুশবাহিনী) আমাদের বিভিন্ন সেনা শিবিরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় আমাদের অনেক সহযোদ্ধা সেনাসদস্যের মৃত্যুও হয়েছে। এ কারণে পিএমসি ওয়াগনারের সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম কমান্ডার্স কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সামরিক নেতৃত্বের হাত থেকে রাশিয়াকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
ওয়াগনারের শীর্ষ কমান্ডার আরও বলেন, ‘আমরা মস্কো অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বাহিনীর ২৫ হাজার সদস্য এ অভিযানে যোগ দিয়েছে। (এই যাত্রাপথে) কেউ যদি আমাদের প্রতিরোধ করতে চায়, সে ক্ষেত্রে আমরা সেই প্রতিরোধকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করব এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা ধ্বংস করব।’
অডিও বক্তব্যে বেশ কয়েকবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমোভের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
[201861]
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওয়াগনার বাহিনী দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করলেও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি ওয়ানগারের শীর্ষ কমান্ডার।
এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির জানিয়েছে, রোস্তভ অঞ্চলের সড়ক শান্ত রয়েছে। কিন্তু পুশকিনস্কায়া রাস্তায় ট্রাফিক অবরোধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অবরোধের কারণ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই