ঢাকা : করোনা মহামারী শেষ হয়েছে আগেই কিন্তু এখনো কোথাও কোথাও এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে করোনার নতুন নতুন ধরনগুলো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
এবার করোনার এক নতুন ধরন নিয়ে বিপাকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড এরিস নামক করোনার নতুন ধরনটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এই দুই দেশে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায় বার্তাসংস্থা ইউএসএ টুডে।
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এরিস বা ইজি.৫.১ জুলাই মাসে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) হু এর তথ্যমতে নতুন এই ধরনের প্রভাবে বেড়েছে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার (ইউকেএইচএসএ) তথ্য মতে, যুক্তরাজ্যে সংক্রমণের দিকে দিয়ে গত মাসের শেষ দিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কোভিড এরিস। ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে এরিসে আক্রান্তের হার ১৪.৬ শতাংশ। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে এই ধরনে সংক্রমণ।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এরিসের কারণে জুলাই মাসে হাসপাতালে ভর্তির হার বেড়েছে ৪০.৭ শতাংশ।
[204663]
এ ছাড়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) তথ্যমতে ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের আর্কটারাসকে ছড়িয়ে পড়েছে এরিস। বর্তমানে এই অঞ্চলের ১৭ শতাংশ মানুষ এই ধরনের আক্রান্ত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এরিসের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ২২ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে ১২ ভাগ।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ভ্যারিয়্যান্ট এরই মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশে ছড়িয়েছে। এছাড়া এরিসের উপস্থিতি ভারতেও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। কয়েকটা রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে এরিসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানান তারা।
করোনার এই নতুন প্রজাতির বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য এখনও ধরা পড়েনি। আগের ধরনগুলোর মতই সর্দি, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, গলা ব্যথা ইত্যাদি এই উপসর্গ। তবে শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আগের মতোই করোনা-সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
এমটিআই