ঢাকা : আফ্রিকার বুরকিনা ফাসোর উত্তরে বিদ্রোহীদের হামলায় দেশটির ৫৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা। সামরিক বিবৃতিতে জানানো হয়, সোমবার (বুধবার) দেশটির ইয়াতেঙ্গা প্রদেশে এক হামলায় ১৬ জন সেনা ও সামরিক বাহিনীকে সহায়তাকারী ৩৬ জন স্বেচ্ছাসেবক নিহত হন। দুই বছর আগে এ অঞ্চলে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে সরকার। সেসময় স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ পুনবার্সনের জন্য কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী।
হামলার প্রসঙ্গে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, চরম কাপুরুষোচিত এমন হীন কাজের জবাব দেওয়া হবে। পলাতক সন্ত্রাসীদের হত্যার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর হামলায় কয়েক ডজন যোদ্ধা নিহতের পাশাপাশি তাদের যুদ্ধ সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে বলেও এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। তবে ওই এলাকায় অভিযান এখনও চলছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় সংগ্রাম চালিয়ে আসছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত।
[206289]
এছাড়াও গত এক দশকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সহিংসতার মাত্রাও বেড়েছে অনেক হারে।
আর এতে প্রতি বছর হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। সংঘাত বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের প্রায় অর্ধেকই সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
এর আগে গত বছর থেকেই ২৩ মিলিয়ন লোকের এ দেশটি দুটি সামরিক অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়ে আছে। যা কিনা এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। আল জাজিরা বলছে, প্রায় ২৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দেশটিতে গত বছর দুটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দ্বিতীয় অভ্যুত্থানে ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর ক্ষমতা দখলের পর থেকে সোমবারের এই হত্যাকাণ্ডটিকে সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর একটি বলে মনে করা হচ্ছে।
আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে বিভিন্ন গ্রুপের বিচ্ছিন্ন যোদ্ধাদের আক্রমণে বেশ কয়েকজন নিহত হন। এসময় যোদ্ধারা দুই ডজনেরও বেশি শহর তাদের দখলে নিয়েছিল।
এছাড়াও নানা সময়ের সহিংসতয়ায় ৭৬২ জন বেয়াস্মরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন দেশটিতে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র আল-জাজিরা
এমটিআই