ঢাকা : ভারতে জি-২০ সম্মেলনের প্রথম দিনের শেষভাগে অতিথিদের জন্য ছিল নৈশভোজের এলাহী আয়োজন। এদিন খাবারের মেন্যুর মাধ্যমে বিদেশি অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’র নিদর্শন। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু পদ দিয়েই আপ্যায়ন করা হয়েছে শেখ হাসিনা, জো বাইডেন, ঋষি সুনাকদের।
ভারতে জাতিগত বৈচিত্র্য সত্ত্বেও মানুষজন কীভাবে ‘স্বাদের মাধ্যমে যুক্ত’ থাকে, তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে মেন্যুকার্ডের শুরুতে। সেখানে লেখা ছিল, স্বাদের মাধ্যমেই বহু বৈচিত্র্যে ভরা ভারতে তৈরি হয়েছে যোগাযোগ। ঐতিহ্য, রীতিনীতি ও আবহাওয়া- সমস্ত দিকেই ভারত বহু বৈচিত্র্যে ভরা। তবু স্বাদই গোটা ভারতকে জুড়ে রেখেছে।
কী কী ছিল জি-২০র মেন্যুতে?
স্টার্টারে ছিল পত্রম নামে বিশেষ এক বাজরার পদ। অনেকটা পাতুরির মতো দেখতে এই পদ দই এবং চাটনি সহযোগে অতিথিদের পরিবেশন করা হয়।
প্রধান কোর্সে ছিল ‘বনবর্ণম’ নামে কাঁঠালের বিশেষ এক পদ। সঙ্গে বন্য ছত্রাক, বাজরার দানা এবং কারি পাতা দিয়ে তৈরি কেরালার লাল ভাত। মুম্বাই পাও এবং বাকরখানিও ছিল সেই তালিকায়।
[206582]
ডেসার্টের মধ্যে ছিল মধুরিমা নামে একটি পদ, যা পরিবেশন করা হয় সোনার পাত্রে। এছাড়াও পানীয়ের তালিকায় ছিল কাশ্মীরি কাওয়া, দার্জিলিং চা এবং ফিল্টার্ড কফি।
চলতি বছরটি ভারত আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দিয়েছিল. যা জাতিসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয়। ভারতে একাধিক জায়গায় এই শস্যের উৎপাদনও বেড়েছে গত কয়েক বছরে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই অতিথিদের খাবারের প্রধান উপকরণ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় বাজরাকে।
এদিন অতিথিদের রুপার থালা-বাটিতে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে জয়পুরের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০০ কারিগর দিয়ে ১৫ হাজারের বেশি রুপার পাত্র তৈরি করা হয়। পরে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির একাধিক বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানেই দুদিন ধরে জমকালো মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজে পাত্রগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
এমটিআই