ঢাকা : প্রতিবেশী মিত্র দেশ পোল্যান্ডের সাথে শস্য নিয়ে দ্বন্দ্বের পর এবার ন্যাটো মিত্র হাঙ্গেরির সমর্থন হারাতে যাচ্ছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেছেন, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হাঙ্গেরিয়ান জাতিগোষ্ঠীর অধিকার পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত যেকোনো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কিয়েভকে সমর্থন করবে না বুদাপেস্ট। সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইউক্রেনে বসবাসরত প্রায় দেড় লাখ হাঙ্গেরিয়ানদের মাতৃভাষা ব্যবহার নিয়ে কিয়েভ ও বুদাপেস্টের বিরোধ রয়েছে। ২০১৭ সালে ইউক্রেন একটি আইন পাস করে। এই আইনে বিদ্যালয়ে সংখ্যালঘুদের ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান বলেন, ‘২০১৭ সালে ইউক্রেনে বিদ্যালয়ে সংখ্যালঘুদের ভাষার ব্যবহার নিয়ে একটি আইন পাস করা হয়েছে। আমি এ আইনের বিরোধিতা করি।’
[207745]
তিনি আরও বলেন, তারা (হাঙ্গেরিয়ান স্কুল) ইউক্রেনীয় স্কুলে রূপান্তর করতে চায় এবং যদি এটি কাজ না করে তবে তারা সেগুলি বন্ধ করতে চায়।" তার সরকার পশ্চিম ইউক্রেনের জাতিগত হাঙ্গেরিয়ানদের অধিকারের জন্য লড়াই করবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক কোনো ইস্যুতে ইউক্রেনকে সমর্থন করি না যতক্ষণ না এটি হাঙ্গেরিয়ানদের অধিকার নিশ্চিত করে এমন আইনগুলি পুনরুদ্ধার করে।
অরবানের রক্ষণশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে হাঙ্গেরি অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্রদের তুলনায় মস্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে দূরে থেকেছে।
সোমবার সুইডেনের ন্যাটো যোগদানের ইস্যুতে ভিক্টর অরবান বলেন, সুইডেনের ন্যাটো যোগদানের বিষয়ে সম্মতি দিতে কোনও তাড়া নেই হাঙ্গেরির।
তার এই মন্তব্যের পর ধারণা করা হচ্ছে সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান আরও বিলম্বিত হতে পারে।
এমটিআই