ঢাকা: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলের বাহিনী। এর মধ্যে গাজায় ঢুকে হামলা চালানোর জন্য সীমান্তে সেনা জড়ো করা হচ্ছিল। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি চলছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন গাজাভিত্তিক হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালায়। ওই হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার এই হত্যাকাণ্ডকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে অনেকে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। তবে এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় হামলা জোরদার করতে যাচ্ছে।
[209399]
শনিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘সরকার অনুমোদিত গাজায় স্থল অভিযানের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, গাজায় তিন ধাপে সামরিক ‘অভিযান’ চালাবে ইসরায়েল। এর মধ্যে প্রথম ধাপ চলছে (বিমান থেকে বোমা হামলা)। প্রথম দফা অভিযানের লক্ষ্য হামাসের সামরিক যেসব অবকাঠামো রয়েছে, তা ধ্বংস করে দেওয়া।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় ঢুকে স্থল অভিযান চালাবে। এর লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের যেসব স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোতে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা। তৃতীয় ধাপ হবে গাজায় পানি ও বিদ্যুৎসহ ইসরায়েল যেসব সেবা দেয়, তা একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।
এআর