ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে প্রায় ৬ হাজার প্রাণহানি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩, ১২:২৩ পিএম

ঢাকা : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ ১৬তম দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আর হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এখনও অনেকে হামাসের কাছে বন্দি আছে।

[209430]

এমন পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে একটি শরণার্থী শিবিরে আজ রবিবার (২২ অক্টোবর) ভোরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হামলায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এর আগে, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়ে হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

[209426]

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪ হাজার ৪৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই গাজার। অল্প কয়েকজন পশ্চিম তীরের।

বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু, নারী ও বয়স্ক নারী। মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, ইসরায়েলি হামলায় বিগত ১৫ দিনে অন্তত ১৬০০ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ হাজার ৪০০ জন।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। আসন্ন স্থল অভিযানের লক্ষ্যে আরও সুযোগ তৈরি করতে ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, আজ রোববার থেকেই এই হামলা শুরু হবে।

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হ্যাগারি শিগগিরই হামলা শুরু হবে উল্লেখ করে শনিবার রাতে বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা (ফিলিস্তিনিরা) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যান। আমরা গাজা শহরে আক্রমণ চালাতেই থাকব এবং এই আক্রমণ ক্রমেই বাড়বে।’

এমটিআই