বিকেলে মুক্তি পাবে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৩, ০১:১৩ পিএম

ঢাকা: শুক্রবার বিকেলে মোট ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এ খবর দিয়েছে।

গণমাধ্যমটিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চুক্তির অংশ হিসেবে মোট ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।

নারী ও শিশুদের নিয়ে গঠিত বন্দীদের, ড্যামন এবং মেগিদ্দো নামক দু’টি জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার দক্ষিণে অবস্থিত ওফার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তারা রেড ক্রসের মাধ্যমে চূড়ান্ত মুক্তির সনদ পাবেন।

এর আগে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। 

তিনি আরও বলেছেন, শুক্রবার বিকেল ৪টায় বন্দীদের প্রথম দলটিকে মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে চার দিন।

মাজেদ আল-আনসারি বলেন, প্রথম দিন ১৩ জন বন্দী মুক্তি পেতে পারে। আগামীকাল যেসব বন্দী মুক্তি পাবে তাদের তালিকা বিনিময় করা হয়েছে। প্রতিদিন নতুন করে বন্দীদের তালিকা বিনিময় করা হবে।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বন্দীদের নিরাপত্তা। আমাদের লক্ষ্য থাকবে তারা নিরাপদে সেখানে পৌঁছাতে পারবে। বন্দীদের গাজা থেকে মুক্তির বিষয়টিতে যুক্ত থাকবে রেডক্রস ও যুদ্ধের অন্য পক্ষগুলো।’

দোহায় একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারির কাছ থেকে আরও জানা গেছে, “যেসব জিম্মি একই পরিবারের, তাদের ফেরত পাঠানোর সময় একসাথে রাখা হবে।

প্রতিদিন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। চার দিনের মধ্যে মোট ৫০ জনকে মুক্ত করা হবে।

গতকাল ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ৩০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চার দিনের যুদ্ধবিরতির সময় এই তালিকার ১৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।

এর আগে বলা হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। বুধবার হামাসের সিনিয়র নেতা মূসা আবু মারজুক বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বন্দী বিনিময় চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হবে। মারজুকের ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। এরপর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি এক দিন পিছিয়ে যাওয়ার দাবি করে।

এর আগে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে - তারা সবাই নারী ও শিশু।

যুদ্ধবিরতি চার দিনেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।

চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়ার পর প্রতি ১০জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলে একটি অতিরিক্ত দিন যুদ্ধবিরতি থাকবে বা যুদ্ধবিরতি এক দিন বাড়ানো হবে ।

জিম্মিদের স্বজনরা বিবিসিকে জানিয়েছে যে তারা এমন কোনো আংশিক চুক্তি চায় না - যেখানে শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

তবে এই ধারাটি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম ৫০ জনের মধ্যে যাদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি নাগরিক - যাদের দুই দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে যে তারা হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। এ জন্য চার দিন যুদ্ধ বন্ধ থাকবে।

এই সংঘাতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে কাতার। এর আগেও হামাসের হাতে জিম্মি চারজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র কাতারের মধ্যস্থতায়।

সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, মিডল ইস্ট আই, সিএনএন

এমএস