যুক্তরাষ্ট্রে ৩ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ০১:৩৫ পিএম

ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত তিন কলেজ শিক্ষার্থী এক বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বার্লিংটন শহরে ভারমন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি রাস্তায় তারা গুলিবিদ্ধ হন। এক ব্যক্তি পিস্তল দিয়ে তাদের গুলি করে পালিয়ে যায়।

এক বিবৃতিতে বার্লিংটন পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে দুইজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, তৃতীয়জন দেশটির বৈধ বাসিন্দা। তাদের সবার বয়স ২০ বছর। হামলার সময় তাদের মধ্যে দুইজন কেফিয়াহ পরাছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি একটি জাতিগত ঘৃণাজনিত অপরাধ বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। রোববার পুলিশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গোয়েন্দারা সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর খোঁজে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

[212074]

রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থি অলাভজনক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর মিডল ইস্ট আন্ডারস্টান্ডিংয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আরবীতে কথা বলতে বলতে যাচ্ছিলেন, তখনই হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারী চিৎকার করে তাদের গালাগাল করে এবং হেনস্তা করার এক পর্যায়ে গুলি করে।

অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী কোনো কথা না বলেই তাদের লক্ষ্য করে চারটি গুলি ছোড়ে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রাণঘাতী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইসলামবিরোধী ও সেমেটিকবিরোধী হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারমধ্যেই গুলিবর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটল।

এটি একটি ‘ঘৃণাজনিত অপরাধ হতে পারে’ বলে এক বিবৃতিতে মন্তব্য করেছেন বার্লিংটনের পুলিশ প্রধান জন মুরাড।

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে গুলিবর্ষণের এ ঘটনাটিকে ‘ঘৃণাজনিত অপরাধ’ হিসেবে ধরে নিয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আমেরিকান-আরব বৈষম্যবিরোধী কমিটিও একই আহ্বান জানিয়েছে।

আহতরা হলেন, রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিশাম আওয়ারতানি, পেনসিলভেইনিয়ার হ্যাভারফোর্ড কলেজের শিক্ষার্থী কিনান আব্দুল হামিদ এবং কনেটিকাটের ট্রিনিটি কলেজের তাহসিন আহমেদ। তারা তিনজনই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের রামাল্লা ফেন্ড্রস স্কুলের গ্রাজুয়েট বলে তাদের পরিবারগুলো জানিয়েছে।    

ছুটিতে তাহসিনের সঙ্গে তাদের বার্লিংটনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হামিদ ও হিশাম। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন বলে রোববার পুলিশ জানিয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও অপর একজনের আঘাত অনেক বেশি গুরুতর বলে জানিয়েছে তারা।  

এমটিআই