গাজায় ফের অভিযান শুরু নিয়ে যা বললেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম

ঢাকা: দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ২৫ নভেম্বর ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল এবং হামাস। পরে সেই মেয়াদ আরও দু’দিন বাড়ানো হয়েছিল। 

অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী; আর এই অভিযানের জন্য গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে দায়ী করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘হামাস চুক্তির শর্ত মানেনি। যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত ছিল যে নিজেদের মধ্যে থাকা জিম্মিদের মধ্যে সব নারীকে তারা মুক্তি দেবে; কিন্তু হামাস তা করেনি। উপরন্তু আজ শুক্রবার ইসরায়েলের নাগরিকদের লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে।’

‘ইসরায়েলে বাহিনী ফের সংঘাতে ফিরে এসেছে এবং ইসরায়েলের সরকারের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, ৩টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরা যুদ্ধ করছি- হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্ত করা, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা এবং ভবিষ্যতে গাজা উপত্যকা যেন আর ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য হুমকি হয়ে না উঠতে পারে- তা নিশ্চিত করা।’

[212384]

বৃহস্পতিবার শেষ হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। তারপরও আশা করা হচ্ছিল- বিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে। কারণ, এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, হামাস যদি প্রতিদিন ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় করে, তাহলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১ দিন করে বাড়ানো হবে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

এআর