ফোন করে গাজায় যুদ্ধ থামাতে বললেন পুতিন, যা বললেন নেতানিয়াহু

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ০৯:৫৭ এএম

ঢাকা : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ফোনালাপে দুই নেতা চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে খবর দিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস নিউজ ও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।

তাস নিউজ তাদের খবরে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক বিপর্যয় নিয়েই মূলত নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের আলোচনা হয়েছে।ফোনালাপে পুতিন গাজায় ইসরাইল আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন।একই সঙ্গে তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন- রাশিয়া সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানায়। কিন্তু ইসরাইলের আগ্রাসনের কারণে ‘গাজায় বেসামরিক মানুষ যে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে’ সেটি তারা মেনে নিতে পারেন না।

[213047]

নেতানিয়াহুকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে এবং বেসামরিক মানুষের দুর্দশা নিরসনে রাশিয়া সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। এ ছাড়া গাজায় আটকে থাকা রাশিয়ান নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

অপরদিকে টাইমস অব ইসরাইল জানায়, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বলেছেন- জাতিসংঘের রুশ দূত ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছেন এতে তারা (ইসরাইল) খুশি নন।এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে রাশিয়া যে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলছে সে বিষয়টি নিয়েও ইসরাইল নাখোশ।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় নির্বিচার হামলার পক্ষে সাফাই গেয়ে পুতিনকে বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাস যে হামলা চালিয়েছে, সেটি যদি অন্য কোনো দেশে হতো, তারাও একই প্রতিক্রিয়া দেখাত।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরাইলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় হামলা ও অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী।এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে যোগ দেয় ইসরাইলের স্থল বাহিনীও।

হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা রোববার বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানায়- গাজা ‍উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর গত দুই মাসের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ হাজার ৭০০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮ হাজার ৭৮০ জন।নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক নিহত হয়েছেন।

এমটিআই