নওয়াজ শরিফের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম

ঢাকা : পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার এক আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে তাকে যাবজ্জীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। যদি সেই রায়কে বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট, তাহলে নওয়াজ শরিফ নির্বাচন করতে পারবেন না। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসার নেতৃত্বে সাত বিচারকের বেঞ্চ শুনানি করতে যাচ্ছে আজ।

গত মাসে পিএমএল-এনের প্রাদেশিক সাবেক আইনপ্রণেতা সরদার মীর বাদশাহ খান কাইসরানি নির্বাচনি আইন, ২০১৭ এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোগ্য ঘোষণার বিরুদ্ধে আপিল করেন। এতে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। গত ১১ ডিসেম্বর এর ওপর শুনানি হয়। তাতে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইশা দেখতে পান যে, সুপ্রিম কোর্টের যাবজ্জীবন অযোগ্য ঘোষণা এবং নির্বাচনি আইন ২০১৭ সংশোধনী একই সঙ্গে বিদ্যমান থাকতে পারে না।

[214401]

তিনি বলেন, হয়তো পার্লামেন্ট থেকে পাশ করা নির্বাচনি আইন ২০১৭ টিকবে, না হয় সুপ্রিম কোর্টের ওই রায় টিকবে।

সুপ্রিম কোর্ট (প্রাকটিস অ্যান্ড প্রোসিডিউর) অ্যাক্ট ২০২৩ এর অনুচ্ছেদ ২ এর অধীনে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিষয়টি একবার এবং সার্বিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। ২০১৮ সালে দেওয়া রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫২(১)(এফ)-এর অধীনে কোনো ব্যক্তিকে যদি অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়, তাহলে তিনি সারাজীবন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

কিন্তু ওই রায়ের পর ইমরান খানের সরকারের প্রায় দেড় বছর বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসে পাকিস্তান ডোক্রেটিক মুভমেন্ট জোট। তারা নির্বাচনি আইন ২০১৭ সংশোধন করে। তাতে আইনপ্রণেতাদের অযোগ্য ঘোষণার মেয়াদ যাবজ্জীবনের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫ বছর করা হয়।

সমালোচকরা বলেন, এই কাজটি করা হয়েছে নওয়াজ শরিফকে রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসনের জন্য। তার বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার সময় ৫ বছর অতিক্রম করেছে এরই মধ্যে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সংবিধানের ধারা এবং নির্বাচনি আইনের সংশোধন একসঙ্গে চলতে পারে না। ফলে সুপ্রিম কোর্ট কোন দিকে রায় দেয় তা বলা মুশকিল। যদি নওয়াজ শরিফ বৈধতা পান তাহলে একই সুবিধা পাবেন ইশতিহকামে পাকিস্তান পার্টির প্রধান জাহাঙ্গীর খান তারিন। কারণ তিনিও যাবজ্জীবন অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন।

এমটিআই