ঢাকা : আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ।
এবারের নির্বাচনে ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটারের জন্য ২৬ কোটি ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। প্রত্যেক ভোটারের জন্য দুটি করে ব্যালট পেপার। একটি জাতীয় পরিষদের প্রার্থীদের জন্য, অন্যটি প্রাদেশিক পরিষদের জন্য।
সেই হিসাবে মোট ভোটারের দ্বিগুণ পরিমাণ ব্যালট পেপার ছাপাল ইসিপি। বাকি ৫ শতাংশ ব্যালট পেপার অতিরিক্ত ছাপা হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে। সোমবার পুনর্মুদ্রিত ব্যালট পেপারগুলো সারা দেশে বিতরণ করা হয়। জিও নিউজ, এএফপি।
[217075]
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ৮৫৯টি নির্বাচনি এলাকায় ৯০ হাজার ৫৮২টি ভোটকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোটাভুটি। গত বছরের তুলনায় এবার প্রার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে বেশিসংখ্যক ব্যালট পেপার তৈরির প্রয়োজন হয়েছে। মুদ্রণে প্রায় ২ হাজার ১৭০ টন কাগজ লেগেছে।
ইসিপির মুখপাত্র সৈয়দ নাদিম হায়দার বলেন, ‘প্রায় ডজনখানেক জেলা ছাড়া জেলা রিটার্নিং অফিসারদের (ডিআরওএস) ব্যালট পেপার বিতরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার বিতরণ করা হবে।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু কিছু এলাকায় গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে রোববার নিরাপত্তার হুমকির কথা উল্লেখ করে বেলুচিস্তানের সরকার কোয়েটায় জনসভা ও নির্বাচনি সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে পোস্ট করেছেন, ‘সন্ত্রাস সতর্কতার প্রতিক্রিয়া’ হিসাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কেননা, কোয়েটায় একজন সন্দেহভাজন মহিলা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর উপস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
[217090]
তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ভোটের দিনে সংবেদনশীল ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত থাকবে।
এ লক্ষ্যে তুরবত, মাচ, চমন এবং প্রদেশের অন্যান্য এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সীমাবদ্ধ থাকবে। এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৮০ লাখ। অন্যদিকে নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৯০ লাখ।
ভোটারের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ৩০ বছরের নিচে। ২৬৬টি আসনের জন্য ৫ হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ৮০৬ জন পুরুষ, ৩১২ জন নারী এবং দুজন ট্রান্সজেন্ডার রয়েছেন। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় নির্বাচনি এলাকা এনএ-২৬০।
বেলুচিস্তান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এলাকাটি চাগাই, নুশকি, খারান এবং ওয়াশুকসহ বিভিন্ন এলাকা নিয়ে গঠিত। এমনকি এ এলাকার উত্তরে আফগানিস্তান এবং পশ্চিমে ইরানের সঙ্গে সীমান্তও রয়েছে।
অন্যদিকে শাহদাদকোটের একজন রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন পরিচালনা ব্যবস্থা (ইএমএস) ফলাফল সংকলন পদ্ধতি সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এ নিয়ে তিনি ইসিপির বরাবর একটি চিঠি লিখেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সফটওয়্যারে নির্বাচনি কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার পরিবর্তে জটিলতা তৈরি করছিল।
[217087]
তিনি আরও বলেছিলেন, ইএমএসে কথিত ত্রুটিগুলো সুষ্ঠু ও অবাধ সাধারণ নির্বাচন পরিচালনায় অসুবিধা তৈরি করবে। তবে ইসিপি কর্মকর্তারা তার এ উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ইসিপির এ অভিযোগের ব্যাপারে পালটা জবাবে বলেছেন, এটি রিটার্নিং অফিসারের প্রযুক্তি ব্যবহারে অযোগ্যতা এবং অশোভন কাজ।
চিঠিতে তারা উত্তর দিয়েছে, ‘গতকাল একটি প্রশিক্ষণের সময় সব রিটার্নিং অফিসার সফলভাবে তাদের ফরম ইএমএসে আপলোড করেছে। চিফ সেক্রেটারি এবং পাকিস্তান ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিলের মতে প্রশিক্ষণের সময় একজনও এ বিষয়ে অভিযোগ তোলেনি।’
এমটিআই