ঢাকা : পাকিস্তানজুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জাতীয় পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে। তবে দলটি জানিয়েছে, খবরটি সত্য নয়। নির্বাচনি লড়াইয়ে আছে পিটিআই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে বলা হয়, নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলোয় পিটিআইয়ের নির্বাচন বর্জন নিয়ে ভুয়া খবর প্রচার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ভুয়া অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে বন্দি করে রাখা ইমরান খানের নেতৃত্বে পরিচালিত পাকিস্তানের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে জনপ্রিয় ও একমাত্র কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে দেশের অবৈধ শাসনকাঠামো ফ্যাসিবাদী আচরণ, নেতিবাচক প্রচার ও নির্বাচনপূর্ববর্তী নজিরবিহীন কারচুপি করে চলেছে। অবৈধ শাসন কাঠামোর এসব আচরণ রুখে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।
[217137]
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো— সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতি। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান কারাগারে বন্দি আছেন।
এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। করাচিতে জামায়াতে ইসলামির জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
[217134]
নির্বাচনের আগে দৃশ্যত খড়্গ নামে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়ানো পিটিআইয়ের ওপর। দলীয়প্রধান ইমরান খানসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা কারাবন্দি। দলীয় প্রতীকে ভোট করতে পারছে না পিটিআই।
এই পরিস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে আছেন পিটিআইয়ের নেতারা। আজকের ভোটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। ভোটে হস্তক্ষেপ হতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই কৌশল সাজানোর কথাও বলা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
এমটিআই