ঢাকা : ক্যানসারের টিকা তৈরির শেষপ্রান্তে পৌঁছেছে রাশিয়া, এমনটাই দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খুব দ্রুতই এ টিকা ক্যানসার রোগীদের জন্য সহজলভ্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মস্কোর ফিউচার টেকনোলজি ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পুতিন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্মের ক্যানসারের ভ্যাকসিন এবং ইমিউনোমোডুলেটরি ওষুধ তৈরির খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি আশা করি, খুভ দ্রুতই এ টিকা কার্যকরভাবে রোগীদের চিকিৎসাপদ্ধতিতে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হবে।‘
[217542]
তবে প্রস্তুতকৃত টিকাগুলো কোন ধরণের ক্যানসারের জন্য বা কীভাবে চিকিৎসা করা হবে তা বিস্তারিত জানাননি পুতিন।
রয়টার্স জানায়, বিশ্বের বহু দেশ ও কোম্পানি ক্যানসারের টিকা নিয়ে কাজ করছে। গত বছর যুক্তরাজ্য সরকার ‘ব্যক্তিগত ক্যানসার চিকিৎসা’ দিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালু করার জন্য জার্মানভিত্তিক বায়োএনটেকের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দেশটি এ কাজে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার রোগীর কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।
এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্না এবং মার্ক অ্যান্ড কো একটি পরীক্ষামূলক ক্যানসারের টিকা তৈরি করছে। মধ্যপর্যায়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ টিকার ফলে জটিল ধরনের মেলানোমায় আক্রান্ত রোগীদের তিন বছরের চিকিৎসার পর আবার এ রোগের পুনরাবৃত্তি বা মৃত্যুর সম্ভাবনা অর্ধেক কমে গেছে।
[217543]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)-এর বিরুদ্ধে বর্তমানে ছয়টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে। এইচপিভি জরায়ুমুখের ক্যান্সারসহ অনেক ধরনের ক্যান্সার সৃষ্টি করে। সেইসাথে হেপাটাইটিস বি (এইচবিভি)-এর বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিন রয়েছে যা লিভার ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন রাশিয়া কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে নিজস্ব স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং বেশ কয়েকটি দেশে সেটি বিক্রিও করে। যদিও দেশীয়ভাবে এই টিকা নেওয়ার বিরুদ্ধে জনসাধারণের অনিচ্ছা ছিল অনেক বেশি।
এমটিআই