ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাকে কারাদণ্ড, চাবুক মারার নির্দেশ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম

ঢাকা: ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী আদালত। একইসঙ্গে তাকে চাবুক মারার নিদের্শও দেওয়া হয়েছে।

এই নির্মাতার আইনজীবী বাবাক পাকনিয়ার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। সিনেমা বিষয়ে একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাসুলফ। তবে এবার আত্মগোপনে রয়েছেন এই লেখক-নির্মাতা।  

বুধবার (৮ মে) মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফের শাস্তির কথা জানান তার আইনজীবী বাবাক পাকনিয়া।

[222974]

তিনি জানান, মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড, চাবুক মারা, জরিমানা ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের রায় দিয়েছেন ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী আদালত। নির্মাতাকে এমন সাজা দেওয়া কারণও জানিয়েছেন তিনি।

বাবাক পাকনিয়া জানান, রাসুলফের এ সাজার কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে। এর মধ্যে হলো প্রকাশ্য বিবৃতি, চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্র নির্মাণ, যা আদালতের মতে— ‘দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে’।

রাসুলফ ২০২০ সালের বার্লিনেল উৎসবে ‘দেয়ার ইজ নো ইভিল’ সিনেমার  জন্য সেরা চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন বিয়ার জেতেন। তার নির্মিত আরেকটি সিনেমা ‘এ ম্যান অব ইন্টিগ্রিটি’ ২০১৭ সালে কানে ‘সার্টেন রিগার্ড’ সম্মানের জন্য স্বীকৃত হয়েছে।  

[222908]

এই লেখক-নির্মাতার সর্বশেষ সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ এবারের ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পেয়েছে।  আগামী সপ্তাহে এটি সেখানে প্রদর্শিত হবে।

এ সিনেমা নিয়েও ইরানি প্রশাসনের হেনস্থার শিকার হয়েছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।  

পাকনিয়ার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, সিনেমাটি মুক্তির আগে, নির্মাতা  রাসুলফ এবং তার প্রযোজনা দল ইরান সরকারের চাপের মুখে পড়ে। কয়েকজন অভিনেতাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।  

পাকনিয়ার দাবি, কান উৎসবে যাতে সিনেমাটি প্রদর্শিত না হয়, সে চেষ্টা করছে এখন ইরান সরকার। মোহাম্মদ রাসুলফকে চাপ দেওয়া হচ্ছে, যাতে সিনেমাটি উৎসব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।  

‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’ সিনেমায় ইমান নামে এক ব্যক্তিকে ঘিরে ইরানের বিচারব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেছেন রাসুলফ। ইমান ইসলামিক বিপ্লবী আদালতের একজন তদন্তকারী বিচারক।

আইএ