ঢাকা: বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার মধ্যে গাজা ভূখণ্ডে বাস্তুচ্যুতদের শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া গাজায় আরও কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে দখলদার দেশটি। এসব হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কয়েক ডজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ফিলিস্তিনির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরার সাংবাদিকরাও জানিয়েছেন, রাফাহতে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া লোকদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহত হয়েছে অনেকে।
[224485]
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলি বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলায় অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, বেশিরভাগ শরণার্থী শিবিরে মারা গেছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্তের পুরো অংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে, যা ফিলাডেলফি করিডোর নামে পরিচিত।
ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি বলেছেন, ‘হামাসের শক্তি ধ্বংস’ করতে গাজার যুদ্ধ আরও সাত মাস স্থায়ী হতে পারে।
রাফাহ এর পশ্চিমে তাল আস-সুলতানে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে দুই প্যারামেডিককে বোমা মেরে হত্যা করে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।
সাড়ে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকরই বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৮১ হাজারের বেশি।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এসবে তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে।
হামলার শুরুর পর ইসরায়েলি ঘোষণার প্রেক্ষিতে রাফাহ এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি। পরে ইসরায়েল সেখানেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দিলে ফিলিস্তিনিরা রাফা ছেড়ে সরে অন্যত্র যান।
মূলত চলতি মাসের শুরুতে রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে তারা সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়। এতে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে মানবিক খারাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুধু রাফায় নয়, গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এমএস