ভারতে কংগ্রেসের পুনরুত্থান, নেপথ্যে কী?

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

ঢাকা: দুই কদম এগোতে হলে মাঝে মাঝে এক কদম পিছিয়ে আসতে হয় কথাটি আরো একবার প্রমাণ করলো ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেস।  ভারতজুড়ে একসময় তাদের প্রবল অধিপত্য থাকলেও হঠাৎই নিজেদের কিছু ভুলের কারণে সমর্থন হারিয়ে ফেলে দলটি। 

পরপর দুটি লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর শুরু হয় দলটিকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে সক্ষম হয়েছে  কংগ্রেস। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব  দিয়েছেন দলটির প্রাণভোমরা রাহুল গান্ধী। এবারের নির্বাচনে বুধফেরত জরিপের তথ্য ও 'মোদি ম্যাজিক' পুরোপুরি অকার্যকর করে দিয়ে নিজেদেরকে তুলে ধরেছে দলটি। 

কিন্তু কিভাবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে খাঁদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ালো দলটি, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করেছেন বিশ্লেষকরা।  তাদের মতে, পরপর দুবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদির শাসনামলে সাম্প্রদায়িক উগ্ৰ হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারা জনজীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আনে। যেটা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেনি দেশের জনগণ। 

[225052]

এছাড়াও, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি, বেকারত্ব সমস্যা ও মুসলিমবিদ্বেষী কট্টর মনোভাব যেন বেড়েই চলছিল মোদির শাসনামলে। আর এই সমস্যাগুলোকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। 

এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেস বারবার মোদির শাসনামলের অবনতির দিকগুলো তুলে ধরে এবং এসব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়।  

অন্যদিকে, শক্তপোক্ত কোন উন্নয়ন না থাকায় বিজেপি তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় হিন্দুত্ববাদী নীতিতেই বেশি জোর দেয়। দলটির প্রত্যশা ছিল, গত দুইবারের মতো এবারও একইভাবে কাজ করবে মোদি ম্যাজিক। আর মোদির এই ভুলনীতিই ছিল কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়াবার অন্যতম হাতিয়ার।

যার ফলস্বরূপ এবারের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ৯৯ আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। যেখানে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস, আর ২০১৯ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল ৫২টি আসন।

যদিও দেশভাগের পরপরই কংগ্রেস ছিল ভারতের একমাত্র বড় রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দল। সবশেষ ২০০৯ সালে ২০৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। সেবার মনমোহন সিং এর নেতৃত্বে সরকার গঠন করে দলটি। আর এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গত দুবারের চেয়ে বেশি আসন পাওয়ায়, পরবতী নির্বাচনে দলটি এরচেয়েও বেশি আসনে জয়লাভ করে নিজেদের স্বর্ণালি যুগ ফিরিয়ে আনতে পারে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমএস