ঢাকা : সবাই চমকে দিয়ে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বামপন্থীরা। বিপরীতে প্রথম ধাপে এগিয়ে থাকা কট্টর ডানপন্থী নেতা মেরি ল পেনের দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণায় দেখা গেছে, বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থী জোট এনসেম্বল দ্বিতীয় হয়েছে। আর উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) অবস্থান তৃতীয়।
বিবিসির তথ্যমতে, দেশটির ৫৭৭ আসনের মধ্যে পার্লামেন্টে বামপন্থী ন্যাশনাল পপুলার ফ্রন্ট ১৮২টি আসন পেয়েছে, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন উদারপন্থী দল পেয়েছে ১৬৮টি আসন। আর পেরি ল পেনের ন্যাশনাল র্যালি দল পেয়েছে ১৪৩টি আসন।
[227169]
তবে তিন পক্ষের কেউই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বামপন্থীরা সর্বোচ্চ আসন পেলেও সরকার গঠনের জায়গায় তারা পৌঁছাতে পারবে না। ৫৭৭ আসনের ফরাসি পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৮৯টি আসন।
সে ক্ষেত্রে বাম জোটকে সরকার গঠন করতে হলে অন্যদের সমর্থন নিতে হবে। তাতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনের সম্ভাবনাই বেশি।
এছাড়া কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা শুরু হবে। কারণ দেশটিতে তিন দলের একসঙ্গে কাজ করার পূর্ব কোন ইতিহাস নেই। এমন অবস্থায় দেশটিতে সরকার গঠনে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
প্রথম দফা ভোটে এগিয়ে থাকায় ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালিকে নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়েন ফ্রান্সের উদার ও মধ্যপন্থীরা। তাই আরএনকে ঠেকাতে বামপন্থীদের জোট এনপিই ও মাখোঁর জোট টুগেদার অ্যালায়েন্সের মধ্যে আপস হয়। আরএনের বিরুদ্ধে পড়া ভোটগুলো যেন একজনই পান, সে জন্য এই দুই জোট মিলে দুই শতাধিক প্রার্থীকে ভোট থেকে সরিয়ে দেন। বাম ও মধ্যপন্থীদের এই কৌশলই কাজে দিয়েছে।
[227160]
আরএন নেতা জরদান বারদেলা ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, তাঁদের জয় ঠেকাতে ‘অস্বাভাবিক রাজনৈতিক জোট’ করা হয়েছে। ন্যাশনাল র্যালি জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হতেন বারদেলা।
যদিও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরই ইউরোর দাম পড়ে গেছে দেশটিতে।
এমটিআই