ঢাকা: জেল থেকে শিগগিরই মুক্তি পাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইদ্দত মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজা বাতিল করা হয়েছে। এটিই ছিল শেষ মামলা যার কারণে তিনি জেলে আছেন। অন্য মামলাগুলোতে ইমরান খান জামিন অথবা খালাস পেয়েছেন।
ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত শনিবার (১৩ জুলাই) ইমরান খান এবং বুশরা বিবির দায়ের করা আপিল গ্রহণ করেছেন।
বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ায়ার ফরিদ মানেকার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ ফেব্রুয়ারি ইদ্দত মামলায় এই দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
[227588]
ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে পাঁচ লাখ রুপি করে জরিমানা করেন জ্যেষ্ঠ সিভিল জজ কুদরতুল্লাহ।
ইমরান দম্পতির আপিল গ্রহণ করার পর বিচারক বলেন, যদি অন্য কোনো মামলায় তাদের খোঁজা না হয়, তাহলে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
এদিন মানেকা একজোড়া আবেদন দাখিল করেন – একটিতে তার প্রাক্তন স্ত্রী বুশরা বিবির মেডিক্যাল চেকআপ করানো হয়, যাতে তার ঋতুস্রাব পরীক্ষা করা হয়, অন্য আবেদনে ধর্মীয় পণ্ডিত ও উলেমাদের কাছে ইদ্দতের মেয়াদ নিয়ে আরও আলোচনার জন্য পরামর্শ চাওয়া হয়।
[227584]
বিচারক তার আদেশে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়ে বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও তার স্ত্রীর মুক্তির আদেশ জারি করা হয়েছে।
রায়ের পর পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর খান গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এই সাজার উদ্দেশ্য ছিল ইমরানকে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করা। আমি আজও আদিয়ালায় ইমরান খান এবং আসিয়া বিবির সাথে দেখা করেছি এবং গতকালের রায়ে তিনি খুব খুশি ছিলেন।
তিনি বলেন, আজকে দেশের বিজয় এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের বিজয়। বিশ্ব এখন দেখেছে যে এটি কেবল ইমরান খানকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তৈরি করা মামলা ছিল।
আইএ