ঢাকা : পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বন্দুকধারীর গুলিতে কান ফুটো হয়ে গেছে মার্কিন সাবেক এই প্রেসিডেন্টের। হামলায় সন্দেহভাজন হামলাকারীসহ আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে হামলার আগে বন্দুকধারীকে পাশের ভবনের ছাঁদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। খবর বিবিসি।
ওই ব্যাক্তি বিবিসিকে জানান, তিনি ট্রাম্পের ভাষণের প্রায় পাঁচ থেকে সাত মিনিট আগে এক ব্যক্তিকে রাইফেল নিয়ে পাশের ভবনের ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
[227625]
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে একটি লোক হামাগুড়ি দিচ্ছে। আমাদের পাশের ভবনের ছাদে, আমাদের থেকে ৫০ ফুট দূরে।‘
তিনি বিবিসিকে জানান, তিনি ও তার বন্ধুরা ছাদে হামাগুড়ি দেওয়া লোকটির দিকে ইশারা করেছিলেন এবং লোকটির উপস্থিতি সম্পর্কে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন।
বাটলারের নির্বাচনী জনসভায় হামলার ঘটনায় আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানিয়েছেন, গুলির সময় মানুষজন ছুটাছুটি শুরু করার আগে তিনি গুলির শব্দ শুনেছিলেন। তিনি বলেন সে সময় অনেক বিশৃঙ্খল ছিল এবং ঘটনাস্থলের পিছনের মানুষেরা দ্রুত বের হওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছিল।
[227624]
হামলার সময় সমাবেশে প্রথম সারির আসনে থাকা রিপাবলিকান সিনেটের প্রার্থী ডেভ ম্যাককরমি জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনা দেখেছেন। তার পেছনে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে ম্যাককরমি বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট টাম্প আমাকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানান। এর মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই সাত থেকে আটটি গুলির শব্দ শুনতে পাই। হঠাৎ করেই একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা তাঁকে ঢেকে ফেলেন, তাঁর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরাও মাটিতে শুয়ে পড়েন।’
[227622]
সিনেট প্রার্থী ম্যাককরমি বলেন, ‘আমি কাঁধের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারি কেউ আঘাত পেয়েছেন। আশপাশের লোকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে সমাবেশে ভিড় থাকায় আহতের কাছে পৌঁছাতে সময় লেগে যায়।’
এদিকে ওয়ারেন ও ডেবিই নামের দুজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তারা অন্তত চার রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এসময় তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডান পাশে ছিলেন।
এমটিআই